নরসিংদীর রায়পুরায় মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনায় ৩ জন গ্রেপ্তার


নরসিংদীর রায়পুরায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় তাদের নিকট হতে চাপাতি, চাকু, মোবাইল সেট, টর্চ লাইট ও টাকা জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো: আব্দুল হান্নান।
এর আগে গত সোমবার দিনে ও রাতে রায়পুরা ও ভৈরবের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার চন্ডিবের মধ্যপাড়া এলাকার আজগর মিয়ার ছেলে মোর্শেদ মিয়া (৩৬), একই থানার দড়িচন্ডিবের এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে মো: সজিব (৩৮) ও মো: খোরশেদ আলমের ছেলে কাওসার মিয়া (৪২)।
পুলিশ সুপার জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নামাপাড়া এলাকায় পৃথক দিনে দুটি ডাকাতির ঘটনার সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে জড়িতদের ধরতে তৎপরতা শুর করে থানা ও ডিবি পুলিশ। থানায় ডাকাতির মামলার পর তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রায়পুরা ও ভৈরব থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট হতে ২ টি চাপাতি, ২ টি মোবাইল সেট, ২ টি টর্চ লাইট, ১টি চাকু ও নগদ ৮ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মোর্শেদ মিয়া ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
উলেখ্য, ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১টার দিকে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের রায়পুরার মাহমুদাবাদ সেতু সংলগ্ন নামাপাড়া এলাকায় ১টি প্রাইভেটকার সড়কের উপর আড়াআড়িভাবে রেখে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে ডাকাত দলের ১০/১২ জন সদস্য।
পরে ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও হকিষ্টিক দিয়ে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের গ্লাস ভেঙ্গে গাড়ীতে থাকা ব্যক্তিদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এসময় ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ ৯৫ হাজার টাকা ও ৩টি মোবাইল ফোন এবং স্বর্ণালংকার নিয়ে লুট করে পালিয়ে যায়।
এছাড়া, গত ফেব্রুয়ারি ভোর পৌণে ৫টার দিকে মহাসড়কের একই এলাকায় অজ্ঞাতনামা ৩ জন মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ২টি মোবাইল ফোন ও ৪ হাজার ৬ শত টাকা নিয়ে যায়। এসব ঘটনায় পৃথক মামলা করেন ভুক্তভোগীরা।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন