নরসিংদীর রায়পুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২ জন নিহত, আহত ৮

নরসিংদীর রায়পুরার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে পাশের মির্জারচর ইউনিয়নে দুইপক্ষের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ৮ জন।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে মির্জারচর গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। রায়পুরা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- মির্জারচর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. মামুন মিয়া (৩০) ও একই এলাকার মানিক ব্যাপারীর ছেলে রবেল মিয়া (২৭)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বাঁশগাড়ী ইউনিয়নে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বাঁশগাড়ী ইউপি নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় নৌকার প্রার্থী মো. আশরাফুল হক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রাতুল হাসান জাকিরের মধ্যে। ওই নির্বাচনের দিন ভোরে নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হয়।

রক্তক্ষয়ী ওই নির্বাচনের ফলাফলে বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী রাতুল হাসান জাকির। এর পরপরই আশরাফুলের কর্মী-সমর্থকেরা মামলাসহ আতঙ্কে এলাকা ছাড়েন। তবে নির্বাচিত হওয়ার কয়েক দিন পরই রাজধানী ঢাকা থেকে পুলিশের হাতে আটক হন রাতুল হাসান জাকির। ওই মামলায় কিছুদিন জেল খেটে বর্তমানে তিনি জামিন পেয়ে এলাকায় রয়েছেন।

আড়াই মাস পর রোববার (৩০ জানুয়ারি) সকালে সাবেক চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল হকের কর্মী-সমর্থকেরা বাঁশগাড়ি এলাকায় প্রবেশ করে। এসময় তারা চেয়ারম্যান রাতুল হাসানের কর্মী-সমর্থকদের ধাওয়া দেয়। ধাওয়া খেয়ে পার্শ্ববর্তী মির্জারচর ইউনিয়নের মির্জারচর এলাকায় আশ্রয় নেন রাতুল হাসানের কর্মী-সমর্থকেরা। পরে দুপুর ১২টার দিকে আশরাফুল হকের কর্মী-সমর্থকেরা মির্জারচর গিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও টেঁটা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষের সময় রবেল মিয়া নামের এক যুবক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে মামুন মিয়া নামের আরও একজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এই ঘটনায় আহত হন আরও অন্তত ৮ জন।

রায়পুরা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ জানান, নিহত দুইজনের লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।