নরসিংদী আদালতে জিআরও এসআই রওশন আরার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবীর অভিযোগ

নরসিংদী জেলা জজ আদালতে মাধবদী জিআরও এসআই রওশন আরার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবীর অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে নামক এক কর্মরত পুলিশের বিরুদ্ধে।

আদালত প্রাঙ্গন থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আইনজীবীর সহকারীর জানান, মাধবদী থেকে বাদীপক্ষ বা বিবাদীপক্ষ যেই হোক না কেন কোর্টে আসলেই উক্ত এসআই রওশন আরাকে ঘুষ দিতে হয়। আর আসামী জামিনে বের হলে তাকে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়।

এদিকে গতকাল বুধবার মাধবদী থেকে আসা মো. বিল্লাল মিয়া সংবাদকর্মীদের নিকট অভিযোগ করে জানান, আমি হাজিরা দিতে কোর্টে আসলে এসআই রওশন আরাকে ৫০০/- টাকা দিলে পরবর্তী তারিখ দেয়। আর জামিন হওয়ার দিন ৫ হাজার টাকা আমার থেকে নিয়েছে সে।

ঘটনার বিষয়ে সত্যতা জানতে চাইলে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রওশন আরার নিকট গেলে দেখা যায় যে, প্রকাশ্যে তিনি ঘুষ খাচ্ছেন। এ বিষয়ে একাধিক অভিযোগ থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি ঘুষ খাওয়াকে বৈধ মনে করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতির এক আইনজীবী সংবাদকর্মীদের জানান, প্রতিটি দরখাস্তে ২ শ’ থেকে ৩ শ’ টাকা দিতে হয়। না দিলে তিনি দুর্ব্যবহার করে দরখাস্ত ফেরত নিতে বলে। হাজিরা বাবদ ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা নিতেও দেখা যায়। এভাবে সে নরসিংদী আদালত পুলিশ কোর্ট ও তার টেবিলকে ঘুষের বাজার পরিনত করেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে রওশন আরার নিকট মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আপনার সাথে আমি পরবর্তীতে যোগাযোগ করব। আমি বর্তমানে কাজে ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলবো।
মাধবদী থেকে আসা হাসি বেগম বলেন, এসআই রওশন আরার দুর্ব্যবহারের কারনে আমরা অতিষ্ঠ। তার কাছে গেলে তিনি টাকা ছাড়া কোন কথা বলেন না। তাই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কিছু পুলিশ সদস্যদের কারনে পুরো ডিপার্টমেন্টের বদনাম হচ্ছে। এ সমস্ত দুর্নীতিবাজ পুলিশদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
এ বিষয়ে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার জাকির হোসেনের নিকট মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি দ্রæত তদন্ত করে সঠিক তথ্য পেলে বিধি অনুযায়ী এসআই রওশন আরার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই এসআই রওশন আরার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে ভিডিও সহ আগামী ধারাবাহিক ০৭ পর্বে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।