নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশ–কোরিয়া সম্পর্ক বিষয়ক ওয়েবিনার
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ‘বাংলাদেশ–রিপাবলিক অব কোরিয়াঃ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৭ বছর’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ–দক্ষিন কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৭ বছর উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব পলিসি এন্ড গর্ভানেন্স (এসআইপিজি) এবং বাংলাদেশে অবস্থিত দক্ষিন কোরিয়ার দূতাবাস যৌথভাবে বাংলাদেশ–রিপাবলিক অব কোরিয়াঃ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৭ বছর শিরোনামে ওই অনলাইন আলোচনার আয়োজন করে।
আলোচকগন বাংলাদেশ এবং দক্ষিন কোরিয়ার মধ্যকার ৪৭ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ককে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করেন। দক্ষিন কোরিয়া বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার এবং বাংলাদেশের রেডিমেড গার্মেন্টস খাতে প্রথম বিদেশি বিনিয়োগকারি দেশ।
আলোচনায় সূচনা বক্তব্য দেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাউথ এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব পলিসি এন্ড গর্ভানেন্সের (এসআইপিজি), ডিরেক্টর অধ্যাপক শেখ তৌফিক এম হক, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিন কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং কুন।
এসময়, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অতিমারির সময়ে এবং রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য দক্ষিন কোরিয়া কে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে দক্ষিন কোরিয়ার এরকম সক্রিয় ভুমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করেন। দক্ষিন কোরীয় রাষ্ট্রদূত তার আলোচনায় বাংলাদেশ এবং দক্ষিন কোরিয়ার প্রায় একই রকম ইতিহাস এবং সংস্কৃতির কথা উল্লেখ করেন।
আলোচকদের মধ্যে, ইয়ংওন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবং সিইও, সাং কি হাক দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বানিজ্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরু করার উপর জোর দেন। তিনি বলেন দুই দেশের মধ্যকার শক্তিশালী বাণিজ্যিক এবং কূটনীতিক অংশীদারিত্বের কারনে বৈশ্বিক শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা সম্ভব।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির, স্কুল অব বিজনেস এন্ড ইকোনমিক্স-এর ডীন, ডঃ আব্দুল হান্নান চৌধুরী, দুই দেশের মধ্যে জ্ঞান, দক্ষতা এবং প্রযুক্তি বিনিময়ের উপর গুরত্ব দিতে বলেন।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন, ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশ এবং দক্ষিন কোরিয়ার সম্পর্কের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা এবং সম্ভাবনার দিক টি তুলে ধরেন।
সেন্টার ফর আসিয়ান-ইন্ডিয়ান স্টাডিজের প্রধান, প্রফেসর চৌ ওয়াঙ্গি তার আলোচনায় দক্ষিন কোরিয়ার প্রবর্তিত নিউ সাউদারন পলিসির মূল বিষয় গুলো তুলে ধরেন।
অন্যদিকে দক্ষিন কোরীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এশিয়া ও প্যাসিফিক ডিভিশন-২-এর ডিরেক্টর, শিন ডং ঊ বলেন, বাংলাদেশকে দক্ষিন কোরীয় বিনিয়োগকারীদের সামনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বিষয়টি তুলে ধরতে হবে এবং জ্বালানী এবং তথ্য প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের পূর্বএশিয়া ও প্যাসিফিক ডিভিশনের-এর ডিরেক্টর জেনারেল, জনাব খন্দকার তালহা বলেন, বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হতে হলে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের উপর জোর দিতে হবে।
দক্ষিন কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার সমাপনী বক্তব্যে দ্বিপাক্ষিক বানিজ্যিক সহযোগিতার উপর জোর দিতে বলেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের উপর গুরুত্ব দেন।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর আতিকুল ইসলাম তার ধন্যবাদ জ্ঞাপনে দুই দেশের মধ্যে যেকোন নীতি প্রনয়নের ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখার ক্ষেত্রে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আগ্রহের কথা জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন