নামেই ‘মা’, কৃতকর্মে যেন লীলাবতী ভন্ডগুরু রাধে মা!


গুরমিত রাম রহিমের ২০ বছরের কারাদণ্ডের পর এবার উঠে আসছে একের পর এক এরকমই স্বঘোষিত ধর্মগুরুদের কেচ্ছা-কেলেঙ্কারি। রাম রহিমের মতই রাধে মাও কম জনপ্রিয় নন। রাম রহিমের মত না হলেও তারও ভক্তের সংখ্যা নেহাৎ কম নয়।
এর আগেও একাধিকবার নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন রাধে মা। কে তিনি, কোথা থেকেই বা উদয় হলেন তিনি? কীভাবে তিনি একজন সাধারণ নাগরিক থেকে একজন স্বঘোষিত ধর্মগুরুমা হয়ে উঠলেন, এই সব প্রশ্ন অনেকের মনে রয়েছে।
পঞ্জাবের গুরদাসপুর জেলার ডোরাঙ্গালা গ্রামে জন্ম। তার আসল নাম সুখবিন্দর কউর। চতুর্থ শ্রেণির পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন তিনি। মাত্র ১৭ বছর বয়সে মোহন সিং নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয় তার। মাত্র ২৩ বছর বয়সে সুখবিন্দর মহন্ত রাম দীনের শিষ্যা হন। হোশিয়ারপুর জেলায় ১০০৮ পরমহংস বাঘ ডেরা মুকেরিয়ার ধর্মগুরু ছিলেন মহন্ত রাম দীন।
ধর্মগুরু রামদীনই সুখবিন্দরকে রাধে মা উপাধি দেন। রাধে মার বেশিরভাগ ভক্তদের দাবি, তিনি নাকি দেবী দুর্গার অবতার। সেই থেকে লাল বেশভূষা ও সোনার গয়না ছাড়া দেখা যায় না রাধে মাকে।
পরবর্তী সময়ে পাঞ্জাব ছেড়ে তিনি মুম্বাই পাড়ি দেন। সেখানে তার শিষ্য হন ব্যবসায়ী মনমোহন গুপ্তা ও এমএম মিঠাইওয়ালা। কবে থেকে তিনি মুম্বাইতে থাকেন তা জানা যায়নি। কিন্তু ২০১৫ সালে গুপ্তা পরিবারের সঞ্জীব গুপ্তা জানান, রাধে মা গত ১২ বছর ধরে তাদের বাড়িতে থাকেন।
গুপ্তা পরিবারের বউমা নিক্কি গুপ্তা ২০১৫ সালে অভিযোগ করেন, রাধে মা, তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে পণের দাবিতে তার বিরুদ্ধে উস্কানি দিচ্ছেন। এই মামলায় ২০১৫ সালে রাধে মাকে ফেরার ঘোষণা করে মুম্বাই পুলিশ। আরেক অভিনেত্রী ডলি বিন্দ্রাও তার বিরুদ্ধে হুমকি ও শারিরীক হেনস্থার অভিযোগ তোলেন।
২০১৫ সালেই সৎসঙ্গ চলাকালীনই তার বিরুদ্ধে ভক্তদের কোলে উঠে অশালীন আচরণের অভিযোগ ওঠে। সেইসঙ্গে ধর্মের আড়ালে বেআইনি ব্যবসা চালানোর অভিযোগ ওঠে ৫২ বছরের রাধে মার বিরুদ্ধে। অবশ্য গুপ্তা পরিবার এই সমস্ত অভিযোগই সাজানো বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন