নার্স নিয়োগের বাতিল পরীক্ষা নভেম্বরে
পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) এর বাতিল হওয়া ৪ হাজার ৬শ’ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের পরীক্ষা নভেম্বরের যে কোনোদিন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এরইমধ্যে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়নের কাজ শুরু হয়ে গেছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গঠিত পৃথক দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এ মাসের মধ্যে দাখিল করা হবে। প্রতিবেদন দাখিলের পর পরই পরীক্ষা গ্রহণের চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। পিএসসির একটি নির্ভরযোগ্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে তদন্ত কমিটির সদস্যরা বৈঠক বসেন। পৃথক দুটি কমিটির সদস্যরা জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় তাদের তদন্ত প্রতিবেদনের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এ মাসের মধ্যেই তারা প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
সূত্র আরও জানায়, বৈঠকে দ্রুত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ধারণের কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণের পর নার্সদের প্রস্তুতির জন্য অন্তত ১৫ দিন জাতীয় দৈনিকে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত হয়।
পিএসসির তথ্য কর্মকর্তা ইসরাত জাহান শনিবার দুপুরে এ সব তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেন।
উল্লেখ্য প্রশ্নপত্র বাতিলের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গত ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করেন।
শনিবার পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (নন-ক্যাডার) শেখ সাখাওয়াৎ হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অনিবার্য কারণবশত এ পরীক্ষা বাতিল করার কথা উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ৬ অক্টোবর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ পদের এমসিকিউ (মাল্টিপল চয়েজ কোয়েশ্চেন) টাইপ লিখিত পরীক্ষা অনিবার্য কারণবশত বাতিল করা হলো। পরবর্তীতে অনুষ্ঠেয় উক্ত পদের এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষার নাম তারিখ ও সময় যথাসময়ে জানানো হবে।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা জানান, অনিবার্য কারণ বলা হলেও পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় ওই পরীক্ষা বাতিল করা হয় বলে স্বীকার করেন।
গত ৬ অক্টোবর রাজধানীর ১০টি কেন্দ্রে মোট ৪ হাজার ৬শ সিনিয়র স্টাফ নার্স (ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি ৩৬০০ ও মিডওয়াইফ ১০০০) বিপরীতে ১৬ হাজার ৯শ’ জন নার্স এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষার শুরুর আগেই পিএসসির চার সেট প্রশ্নের সবকটি পরীক্ষার্থীদের হাতে চলে যায়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে জানা যায়, পিএসসির এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজশে ঢামেক কতিপয় নার্স নেতা প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এসব নেতারা বিভিন্ন নার্সিং হোস্টেলে গিয়ে সর্বনিম্ন ২০ হাজার থেকে ৫০/৬০ হাজার টাকায় প্রশ্নপত্র বিক্রি করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন