নিউইয়র্ক গভর্নরের যৌন হয়রানির শিকার ১১ নারী

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোর বিরুদ্ধে একাধিক নারীকে যৌন হয়রানির প্রমাণ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস জানিয়েছেন, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য ও কেন্দ্রীয় আইন ভঙ্গ করেছেন কুমো।

এদিকে যৌন হয়রানির প্রমাণ পাওয়ার পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গভর্নর কুমোকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।

অবশ্য, অ্যান্ড্রু কুমো তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি অযাচিতভাবে কাউকে স্পর্শ করেননি। গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার কথাও জানান কুমো।

বার্তা সংস্থা এপি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুমো ১১ জন নারীকে যৌন হয়রানি করেছেন। তার বিরুদ্ধে ১৬৫ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

নিউইয়র্কের গভর্নর ৬৭ বছর বয়সী অ্যান্ড্রু কুমোর বিরুদ্ধে প্রথম যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে গেল বছর। এরপর আরও কয়েকজন নারী তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উত্থাপন করেন। টানা পাঁচ মাস তদন্তের পর রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস জানান, কুমোর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এরপরই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, গভর্নরের এখন পদত্যাগ করা উচিত।

অ্যান্ড্রু কুমো বলেন, দেখুন আমার ৬৭ বছরের জীবনে কেউ প্রথম এমন অভিযোগ তুলল। এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। বাস্তবের সঙ্গে এই অভিযোগের কোনো মিল নেই। যার সঙ্গে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তিনি আমার অফিসেই কাজ করতো। তার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল।

তদন্তকারীরা প্রায় ২০০ জনের মতো মানুষের জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে গভর্নরের কার্যালয়ের কর্মী ও কয়েকজন অভিযোগকারীও রয়েছেন। তদন্তের অংশ হিসেবে কয়েক হাজার নথি, ক্ষুদে বার্তা ও ছবি পর্যালোচনা করা হয়েছে।

নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লিতিতিয়া জেমস বলেন, তদন্ত থেকে প্রমাণিত হয় যে, গভর্নর কুমো কয়েকজন নারীকে যৌন হয়রানি করেছেন এবং ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্যের আইন ভঙ্গ করেছেন।

অ্যান্ড্রু কুমো তিন কন্যার বাবা। তার বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনের অভিযোগগুলোর একটিতে বলা হয়, রাষ্ট্রের একজন নারী কর্মী কুমোর লক্ষ্যবস্তু ছিল। একদিন লিফটে কুমো ক্লার্কের পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন। একপর্যায়ে তিনি একটি আঙুল ক্লার্কের ঘাড় থেকে স্পর্শ করে মেরুদণ্ড বেয়ে নিচে নামিয়ে আনেন। আর আরেকটি হাত দিয়ে তার পেটের নিচে স্পর্শ করেন। সেসময় কুমো ক্লার্কের বুকেও স্পর্শ করেছিলেন।