ভোটে যাওয়ার ঘোষণা ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের

বাংলাদেশের ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ড: কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিকে সাথে নিয়ে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

জোটের সিনিয়র নেতাদের সাথে নিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন জোটের শীর্ষ নেতা ড: কামাল হোসেন।

তবে এতে কামাল হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর।

মিস্টার হোসেন তার লিখিত বক্তৃতায় বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ন্যূনতম শর্তও এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেও বিটিভিসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম প্রচার হচ্ছে যা নির্বাচনী আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”

“সব দল ও জনগণের আপত্তি সত্ত্বেও সরকার ও নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত বাতিল করেনি।”

তিনি বলেন, “এমন পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। তাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন। কিন্তু এরকম ভীষণ প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

মিস্টার হোসেন বলেন, তাদের সাত দফা দাবি থেকে তারা সরে যাচ্ছেননা এবং বর্তমান তফসিল বাতিল করে এক মাস পিছিয়ে দিয়ে নতুন তফসিল ঘোষণারও দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতির পাশাপাশি ঐক্যফ্রন্ট কড়া নজর রাখবে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের আচরণের প্রতি।

“জনগণের দাবি মানা না হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় দায়িত্ব সরকার ও নির্বাচন কমিশনেই নিতে হবে।”

ওদিকে প্রায় একই সময়ে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।

জোটের পক্ষে এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব) অলি আহমদ জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন ঐক্যফ্রন্টের মতোই নির্বাচনী তফসিল পেছানোর দাবি করেন।

তবে একই সাথে দায়িত্বে পালনে ব্যর্থতার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেন।

নির্বাচনী প্রতীক কী হবে ?
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী প্রতীক কি হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ড: কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির দুজনই জানিয়েছেন এ বিষয়ে তারা পরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।