নির্বাচনে তরুণদের মুক্তিযুদ্ধের শক্তির পক্ষের থাকার আহ্বান

অর্থনৈতিক-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে, তরুণদের মুক্তিযুদ্ধের শক্তির পক্ষের থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে সিআরআই ও আইএম বাংলাদেশ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তারা এ আহ্বান জানান।

‘তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অংশ নেন কয়েকশো তরুণ। বক্তাদের মধ্যে বিশিষ্ট নাগরিক যেমন ছিলেন, তেমনি ছিলেন তরুণ প্রতিনিধিও।

অনুষ্ঠান বক্তারা বলেন, ১০ বছরে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। মানুষের মাথা পিছু আয় যেমন বেড়েছে, তেমনি বাস্তবায়ন হচ্ছে মেগা প্রকল্পগুলো। উন্নয়ন হচ্ছে শিক্ষাসহ সবক্ষেত্রে। আর এই সব সম্ভব হয়েছে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের ‘দিন বদলের সনদ’র কারণে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড আতিউর রহমান বলেন, ‘দশ বছর ধরে লাগাতার প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের তরুণরা কেন এই চলন্ত ট্রেন হঠাৎ করে থামিয়ে দেবে!’

শিক্ষাবিদ ও লেখক ড জাফর ইকবাল বলেন, ‘ইশতেহারে একটা বিষয় অনেকের চোখ এড়িয়ে গেছে। কিন্তু আমি দেখে আনন্দিত হয়েছি যে বিজ্ঞান গবেষণায় আরও বেশি টাকা বরাদ্দ করা হবে।’

আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তরুণদের নিরপেক্ষ নয়, দেশ ও মুক্তিযুদ্ধের শক্তির পক্ষের থাকার আহ্বান জানান বিশিষ্ট নাগরিকরা।

আন্তর্জাতিক অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বলেন, ‘দেশের প্রত্যেকটি স্তরে পরিবর্তন হয়েছে। অভিযোগ করতে সবাই পারে। কিন্তু পরিবর্তনের জন্যে পরিকল্পনা দরকার। তরুণদের জন্যে সবথেকে জরুরী পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কখন কী হচ্ছে আমরা জানতে পারি। কিন্তু এটা যাচাই করার জন্যে শিক্ষা দরকার। কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যা বুঝতে হবে।’

রাজনীতিবিদ তারানা হালিম বলেন, ‘দেশের পতাকার পক্ষে আমাদের পক্ষ নিতেই হবে। বাংলাদেশের অস্তিত্বের পক্ষ নিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আগত তরুণরা বক্তাদের প্রশ্ন রাখার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে নিজেদের মতামতও তুলে ধরেন।