নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ডাকসুর নেতৃত্বে থাকবে ছাত্রলীগ : তোফায়েল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রলীগ বিজয়ী হয়ে আবার নেতৃত্ব দেবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন তোফায়েল আহমেদ।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন: ‘ডাকসু নির্বাচন আগামী ১১ই মার্চ। আমি বিশ্বাস করি, ছাত্রলীগের মধ্যে যে ঐক্য স্থাপিত হয়েছে তাতে আবার ছাত্রলীগ বিজয়ী হয়ে ডাকসুর নেতৃত্ব দিবে।’
গত ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদযাপন করার কথা থাকলেও সেসময় আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে ওই অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছিল। আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ছাত্রলীগ।
প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি তোফায়েল আহমেদ ছাত্রলীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দীনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের দলীয় সংগীত পরিবেশনা করা হয়। এতে শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীরা তাদের পরিবেশনা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বণার্ঢ্য র্যালী বের করা হয়। চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে র্যালী শুরু হয়। র্যালীতে অংশ নিয়েছেন ছাত্রলীগের বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগ, বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রলীগ, ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
যানজট সৃষ্টি হয়ে জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালী শুধু বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতে করা হয়। বিগত বছরগুলোতে বিশাল র্যালী নিয়ে ছাত্রলীগ গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত যেত। ফলে আশেপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হতো।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ছাত্রলীগের বিগত কমিটির সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহের হোসেন প্রিন্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক নেতৃবৃন্দসহ অনেকে।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দিয়ে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সমাপ্তি করায় বর্তমান ও সাবেক অনেক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নতুন কমিটিতে পদপ্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির কেন্দ্রীয় এক নেতা চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘বিষয়টি দৃষ্টিকটু হয়েছে। আমার রাজনৈতিক জীবনে এমনটা দেখিনি।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন