নির্বাচন সামনে রেখে ঈদে গরু-ছাগল কোরবানির হিড়িক!
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে রাজনৈতিক তৎপরতা ততই বাড়ছে। প্রতি আসনে গড়ে পাঁচজন প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান। নতুন মুখের পদচারণায় তৃণমূলে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। পবিত্র ঈদুল আজহাকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে তৃণমূল রাজনীতি। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীদের নানা রঙের পোস্টার-ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। তৃণমূলকে আস্থায় নিতে যে যার মতো দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।
ক্ষমতাসীন নেতারা বলেন, প্রতিটি আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে যিনি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়, তাকেই মনোনয়ন দেবেন শেখ হাসিনা। সে কারণে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এখন তৃণমূলের দিকে ঝুঁকছেন। তারা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ করে বেড়াচ্ছেন। আসন্ন ঈদুল আজহায় মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বেশি করে গরু-ছাগল কোরবানি দিচ্ছেন বলেও জানা গেছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এটাই শেষ ঈদ। সে কারণে ঈদকে গুরুত্ব দিচ্ছেন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
কিছু আসনে একক প্রার্থী আবার কিছু আসনে ডজন প্রার্থীও রয়েছেন। ফলে গড়ে ৩০০ আসনে নৌকার টিকিট পেতে চান ১৫০০ প্রার্থী। এ বিপুল সংখ্যক প্রার্থী সারা দেশের প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় যে যার মতো করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরামের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাই এবার কঠিন হবে। তৃণমূলের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে চার স্তরের জরিপ মিলিয়ে দেখা হবে। সে কারণে বর্তমান এমপি কিংবা আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক ছাত্রনেতা— এসব যোগ্যতা থাকলেই নৌকার টিকিট পাওয়া যাবে না। যাকে মনোনয়ন দিলে জিতে আসার সম্ভাবনা বেশি, আগামী নির্বাচনে তাকেই দেওয়া হবে নৌকার টিকিট।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন