নেত্রকোণার বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত, আশ্রয় খুঁজছে অসহায় মানুষ

পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোণার বিভিন্ন অঞ্চল পানিতে ভাসছে আশ্রয় খজছে মানুষ।পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ ।বিষেষ করে কলমাকান্দা এলাকায় এর প্রভাব খুব বেশী। আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষ আসা শুরু করেছেন। কলমাকান্দা উপজেলার প্রায় সবকটি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে প্লাবিত।

বুধবার সন্ধ্যার দিকে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে উঠেছেন ৫টি পরিবার। কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: আসাদুজ্জামান জানান, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে পানি ঢুকেছে। এর মধ্যে সদর, বরখাপন ও পোগলা ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা ও কৈলাটি, রংছাতি ও খারনৈসহ বাকি ৫টি ইউনিয়নের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

এ নাগাদ ১৫০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে বিশরপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে ৫টি পরিবারের ২০ জনের মতো আশ্রয় নিয়েছেন। পানিবন্দী এলাকা পরিদর্শন করার কথা জানিয়ে ইউএনও বলেন, রাতে যদি আরো পানি বাড়ে তাহলে আগামীকাল আশ্রয়কেন্দ্রে পানিবন্দী মানুষদের আনতে হতে পারে। এক্ষেত্রে স্কুলসহ মোট ৪২ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুকনো খাবার,নগদ টাকার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সন্ধ্যা নাগাদ স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ রুহীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা পানি কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কাজ করা হচ্ছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সারওয়ার জাহান জানান, কলমাকান্দা পয়েন্টে উব্ধাখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাছাড়া কংশ,ধনু ও সোমেশ্বরী নদীর পানিও বেড়ে চলেছে।

কলমাকান্দা সদরের মধ্যবাজারের বাসিন্দা মোজাম্মেল হক বলেন, উপজেলা সদরেসহ আশপাশে পানি ঢুকে পড়েছে। উপজেলা সদর লাগোয়া চানপুর, রাজাপুর,ভোটপাড়া, মনতলা, ঘোষপাড়া,গোজাকুনিয়া,নোয়াগাও, হরিণতলা নাগডোরা এলাকায় বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশু নিয়ে সেখানের মানুষ বিপদে আছে। রাতে যদি পানি আরো বাড়ে তাহলে ঘরে থাকাটাও সম্ভব হবেনা।