নেত্রকোনায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪১ বস্তা চাল জব্দ, কালোবাজারীর বিরুদ্ধে মামলা
নেত্রকোনার মদনে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪১ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। ডিলার বুলবুল মিয়ার ছোট ভাই কালোবাজারী দুলদুল মিয়াকে আসামি করে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) মামলা দায়ের করেছেন মদন খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সালেক।
এর আগে বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামী দুলদুল মিয়ার বসত ঘর থেকে ৪১ বস্তা চাল জব্দ করে উপজেলা সহকারি কমিশানর (ভূমি) এ টি এম আরিফ। স্থানীয় লোকজন ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুদা হবে নিরুদ্দেশ’ এই স্লোগান নিয়ে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি চালু করে সরকার।
সেই কর্মসূচির আওতায় নেত্রকোনার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নে হতদরিদ্রের খাদ্যা অভাব দূরীকরণের লক্ষ্যে দুইজন ডিলার নিয়োগ করা হয়। এর মধ্যে ডিলার বুলবুল মিয়া ওই ইউনিয়নের সিংহের বাজারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ করে তাকে। ডিলার বুলবুল মিয়ার নিকট হতে ৩৫২ জন হতদরিদ্র চাল নেন। বুধবার ওই সুবিধাভোগীদের চাল বিতরন করা হয়। সেই সময় ৪১ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রি করার জন্য ডিলার বুলবুল মিয়ার ছোট ভাই দুলদুল মিয়া তার বসত ঘরে মজুদ রাখে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতেই উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এটি এম আরিফ ঘটনা¯স্থলে গিয়ে চাল জব্দ করে। এ ঘটনায় উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সালেক বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুলদুল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মোঃ বুলবুল মিয়া জানান,‘ অধিকাংশ কার্ডধারী চাল বিক্রি করে দেয়। আমি বাড়িতে থাকি না। আমার বাড়িতে চাল কিভাবে গেল তা আমার জানা নেই।’
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান,‘খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল জব্দের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলেছে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন