নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ
নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় মাদরাসা পড়–ুয়া শিক্ষার্থী (১৪) কে দিয়ে অপর শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে এক পরিবারকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নলজোড়া গ্রামের ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনরা এমন দাবি করেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে, ২ মার্চ শনিবার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষার্থীর পিতা কাজল মিয়া ও সর্বস্তরের এলাকাবাসী।
কাজল মিয়া তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার ছেলে মো. জুবায়ের হোসেন বয়স ১৬ দুর্গাপুর পৌরশহরের তেরীবাজারস্থ মাদ্রাসার হেদায়েতুন্নাহু শ্রেনির শিক্ষার্থী। আমি এলকায় দিনমজুরী করে সংসার চালাই। আমাকে হয়রানী করার জন্য নলজোড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত নজরুল ইসলামের ১৪ বছর বয়সী শিশু খাদিজাকে দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নেত্রকোনায় এক মামলা দায়ের করেন। মামলায় আমার ছেলের নাম জান্নাতুল (২২) পিতা কাজল মিয়া উল্লেখ করা হয়েছে অথচ এই নামে আমার কোন পুত্র সন্তান নাই। মামলায় যে ৫জন সাক্ষির নাম দেয়া হয়েছে তার তন্মধ্যে ২জন সাক্ষি এব্যপারে কিছুই জানেন না বলে এফিডেভিটও করেছেন,অপর ১,২ নং স্বাক্ষী বাদীর নিকটতম লোক।কাজল মিয়া ও গ্রামবাসীদের একাংশ জানান ৫নং স্বাক্ষী খারাপ লোক বলে এলাকায় পরিচিতি রয়েছে তার নামে ১০/১২টি মামলাও রয়েছে বলে জানান তারা,দু-পক্ষের মথ্যে বিবাদ সৃুষ্টকরে অর্থ লুফিয়ে নেওয়াই হচ্ছে তার কাজ। মামলায় উল্লেখ করা হয় যে, আমার ছেলে গত ১৭ জানুয়ারি রাত ৭টার দিকে ঐ এলাকার এক জঙ্গলে নিয়ে খাদিজাকে ধর্ষণ করেছে। যাহা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি আপনাদের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের করে এর তীব্র নিন্দা জানাই,দায়েরকৃত মামলার কোন সত্যতা নাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম, এলাকাবাসীর পক্ষে মো. জামাল উদ্দিন, মো. জিয়াউর রহমান, মো. কাজল মিয়া, মো. মিলন মিয়া, মো. আব্দুল গণি, মো. মোবারক হোসেন, আব্দুর রব, মো. রিপন মিয়া, হুমায়ুন কবীর, ফজলুর রহমান সহ শতাধিক গ্রামবাসী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন