নেত্রকোনার মদনপুর মাজার থেকে বাড়ি ফেরা হলো না আয়নাল হকের
নেত্রকোনার আটপাড়ায় ট্রাক চাপায় আয়নাল হক (৪৫) নামের এক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার যাত্রী নিহত হয়েছে। এতে আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১ টার দিকে নেত্রকোনা-মদন সড়কের আটপাড়া উপজেলার কাজান্তি নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আয়নাল হক মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম সাজুর ছেলে।
আহতরা হলেন একই গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ (৩৫), হেলিম মিয়া (৫৫) ও জুয়েল (৩৮)।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে নেত্রকোনা সদরে অবস্থিত মদনপুর শাহ্ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রহঃ) মাজারে প্রতি বৃহস্পতিবার ভক্তবৃন্দরা আসেন। মদন উপজেলার বাগজান গ্রামের আইনুল হক সহ একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা যোগে ৭-৮ জন মাজারে আসেন।
রাতে বাড়ি ফেরার পথে আটপাড়া উপজেলার মদন-নেত্রকোনা সড়কের কাজান্তি নামক এলাকা রাত ১ টার দিকে রাস্তায় ট্রাক চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে আয়নাল হক গুরুত্ব আহত হলে রোড়ে টহলরত আটপাড়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় ও সাথে থাকা অন্য এবং স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আয়নাল হককে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা রাতেই আয়নাল হকের লাশ বাড়িতে নিয়ে যান।
নিহতের প্রতিবেশী বাগজান গ্রামের রুবেল মিয়া জানান, মাজারে অনুষ্ঠান শেষে মধ্যরাতে বাড়ি ফেরার পথে তাদের অটোরিকশা কে একটি ট্রাক চাপা দেয়। খবর পেয়ে আমরা রাতেই নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে যাই। আয়নাল হক ঘটনাস্থলেই মারা যায় আর তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রাতেই মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।
আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান জানান, ট্রাক চাপায় অটো রিকশায় কয়েক জন যাত্রী কাজান্তি এলাকায় আহত হয় এমন খবরে রাস্তায় টহলরত পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরবর্তীতে খবর পেয়েছি একজন মারা গিয়েছে এবং লাশও নাকি বাড়িতে নিয়ে গিয়েছে। আমি মদন থানার ওসির সাথে কথা বলেছি, তিনি নিহতের বাড়িতে পুলিশ পাঠাচ্ছেন।
মদন থানার ওসি নাঈম মোহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, আটপাড়া থানা থেকে নিহতের খবর পেয়েছি, তবে থানায় এ বিষয়ের কোনো অভিযোগ বা তথ্য আসেনি। আটাপাড়া থেকে খবর পাওয়ার পর নিহতের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন