নেপালি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরকারপ্রধানদের সাক্ষাৎ
সামিট অব দ্য বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনের (বিমসটেক) ৪র্থ সম্মেলনে যোগ দিতে নেপাল যাওয়া সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সরকারপ্রধান ও প্রতিনিধিরা দেশটির প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। স্থানীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় এ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হবে।
তার আগেই দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অতিথিরা সাক্ষাৎ করেছেন এবং নেপালি প্রেসিডেন্ট তাদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন।
নেপালি গণমাধ্যম দ্য হিমালয়ান টাইমস এক প্রতিবেদনে বলেছে, দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যারা দেখা করেছেন তারা হলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ, ভুটানের প্রধান বিচারপতি টিশারিং ওয়াংচুক, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রেউত চান-ও-চা।
নেপালি প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ গায়ালি এবং রাষ্ট্রপতির বাসভবন শীলত নিবাসের কর্মকর্তারা আগত অতিথিদের স্বাগত জানান বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন নেপালি প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলী। সেখানে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, উপ-আঞ্চলিক সংস্থাটি (বিমসটেক) ১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংকক ঘোষণার মধ্য দিয়ে গঠিত হয়। এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ৫টি দক্ষিণ এশিয়ার। এগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা এবং অন্য দুটি দেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ড।
প্রাথমিকভাবে ৪টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে একটি অর্থনৈতিক জোট গঠিত হয়েছিল। যার সংক্ষিপ্ত নাম ছিল ‘বিআইএসটি-ইসি’ (বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা এবং থাইল্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন)।
১৯৯৭ সালের ২২ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে একটি বিশেষ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এই জোটে মিয়ানমারের অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে এর নতুন নামকরণ হয় ‘বিআইএমএসটি-ইসি’ (বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলংকা এন্ড থাইল্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন)।
৬ষ্ঠ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে (ফেব্রুয়ারি ২০০৪, থাইল্যান্ড) নেপাল এবং ভুটান অন্তর্ভুক্ত হলে জোটের নতুন নামকরণ হয় ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক)।’
এই ধরনের একটি জোট গঠনের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বায়নের আগ্রাসন মোকাবেলা করে আঞ্চলিক সম্পদ এবং ভৌগোলিক সুবিধাদি কাজে লাগিয়ে সকলের স্বার্থে পারষ্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন