৪৫ মরদেহ উদ্ধার

নেপালে বিধ্বস্ত বিমানে ৭ দেশের ৭২ আরোহী, মৃতের সংখ্যা বাড়ছে

নেপালের পোখারায় বিধ্বস্ত ইয়েতি এয়ারলাইনসের বিমানটিতে থাকা ৭২ আরোহী বিশ্বের ৭ ভিন্ন ভিন্ন দেশের নাগরিক।

পোখারা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এদের অধিকাংশই নেপালি; বাকিরা ভারত ও রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, বিমানটিতে থাকা ৭২ আরোহীর মধ্যে ৬৮ জন যাত্রী, বাকিরা ক্রু।

পোখারা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৬৮ যাত্রীর মধ্যে ৫৩ জন নেপালি, পাঁচজন ভারতীয়, চারজন রুশ, একজন আইরিশ, দুজন কোরীয় এবং একজন করে ফরাসি ও আর্জেন্টাইন। মোট ৬৭ জনের নাগরিকত্ব জানা গেলেও বাকি একজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া দুই কোরীয় উত্তর না দক্ষিণের তা জানা যায়নি।

নেপালের পোখারায় বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে এখন পর্যন্ত ৪০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে বিমানটি পোখারার কাসকি জেলায় বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার পরপরই নেপাল সরকার মন্ত্রিসভার এক জরুরি বৈঠক ডেকেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেপালের বেসরকারি বিমান পরিচালনাকারী সংস্থা ইয়েতি এয়ারলাইনসের এটিআর-৭২ মডেলের বিমানটি রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় যাচ্ছিল। বিমানটি ৬৮ যাত্রী এবং চার ক্রু নিয়ে পোখারার পুরাতন বিমানবন্দর এবং নতুন পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যবর্তী স্থানে বিধ্বস্ত হয়।

ইয়েতি এয়ারলাইনসের মুখপাত্র সুদর্শন বারতাউলা বলেছেন, ‘আমরা এখনও জানি না এই দুর্ঘটনায় কেউ জীবিত রয়েছেন কি না।’

কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে প্রাথমিকভাবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি। ইয়েতি এয়ারলাইনস বা নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য জানানো হয়নি। ‍দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ব্যাপক ধোঁয়া উড়ছে এবং সেখানে আগুনও জ্বলছে।

নেপালি সাংবাদিক দিলিপ থাপা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, এখনো আগুন জ্বলতে থাকায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।