নোবিপ্রবিতে বেড়েছে মশার উপদ্রব, অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আবাসিক হলগুলোতে মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে। এতে মশাবাহিত রোগের শঙ্কায় দিন পার করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
হল সূত্র জানায়, বেডরুম, রিডিংরুম, টিভি রুম, গেস্ট রুম, ডাইনিংসহ সবত্রই মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন পড়াশুনা ব্যাহত হচ্ছে, অপরদিকে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।কয়েল জ্বালিয়ে, মশারি টাঙিয়ে মশার উপদ্রব থেকে নিস্তার পাওয়ার চেষ্টা করছেন হলের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো নজরদারী নেই বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, হলের ভেতরে নালা অপরিস্কার, ডাইনিং এর উচ্ছিষ্ট অংশ যেখানে সেখানে ফেলে রাখা, ময়লা পানি ড্রেনে জমে থাকা, কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলা, হলের ভেতরে ও বাইরে আগাছা সময়মত পরিস্কার হয় না। ফলে মশা বংশবিস্তার করছে দ্রুত।
ভাষা শহীদ সালাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান অপু বলেন, হলে মশার উপদ্রব অনেক বেড়ে গেছে , চতুর্দিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ।এমতাবস্থায় ডেঙ্গু ছড়ালে আমাদের জন্য আরো বেশি হুমকির কারণ হয়ে দাড়াবে। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে খুবই আতংকিত । তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
আব্দুল মালেক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মারুফ বলেন, হলের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা একেকটা নবাব সিরাজুদ্দৌলার উত্তরসূরী। সব স্থানীয় হওয়ায় প্রত্যেকটা হল অফিসের কেউ কাউকে গুনে না। শুধুমাত্র স্যারদের হস্তক্ষেপ পরলে একটু নড়াচড়া দেয় শুধু।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তাবিবা বিনতে লিয়াকত বলেন, হলে মশার উৎপাত অনেক বেড়ে গেছে। সাথে যোগ হয়েছে পোকামাকড়ের আক্রমণ। সাভাবিকভাবে দিন পার করা দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। দ্রুত এসব সমস্যা থেকে মুক্তি চাই।
এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ আবাসিক হলের প্রভোস্টদের সাথে যোগাযোগ করা হলে দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিবেন বলে গণমাধ্যমকে আশ্বস্ত করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন,আগামীকালই আমরা এই ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পৌর মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্যাম্পাসে মশা নিধনের স্প্রে পাঠাতে বলব।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য(ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ আব্দুল বাকীর সাথে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন