নোয়াখালীতে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন-সমাবেশ

নোয়াখালীর সেনবাগের লায়ন জাঙ্গীর আলম মানিক মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর)  দুপুর ১২ টায় কলেজের সামনে ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের পাশে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচি পালন উপলক্ষে সকাল থেকে কলেজের শিক্ষার্থী এলাকার বাসিন্দা ও শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলেজ প্রাঙ্গনে জড়ো হতে থাকেন। দুপুর বারোটার দিকে তারা কলেজের সামনের ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কে মানববন্ধন করেন। বন্ধন কারীরা এ সময় তাদের দাবি সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন বহন করেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন কলেজের দাতা সদস্য ফিরোজ আলম, অধ্যক্ষ নুরুল আলমসহ শিক্ষার্থীদের অনেকেই। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক একজন শিল্প উদ্যোক্তা এবং খেতাবপ্রাপ্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। একই সঙ্গে তিনি সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এলাকা নারী শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি সেনবাগ উপজেলার শায়েস্তানগর এলাকায় লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি যখন মানসম্পন্ন পাঠদানে এবং ফলাফলে সকল মহলের সুনাম অর্জন করেছে। ঠিক সেই মুহূর্তে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কে একাধিক রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে কলেজটিকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে একটি স্বার্থন্বেষী মহল। আমরা তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার এবং মিথ্যা মামলা দায়েরকারী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাহাঙ্গীর আলমের মালিকানাধীন বিপনী বিতান ও বাড়িতে হামলা ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। একই সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। সব মামলার প্রেক্ষিতে তিনি কলেজ ক্যাম্পাসে আসতে না পারায় শিক্ষক কর্ম হত্যা কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান সহ কলেজের কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে।