‘নৌমন্ত্রীকে কি মাফ করা যায় না?’ বললেন ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নৌমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বারবার ক্ষমাও চেয়েছেন। স্যরি বলেছেন, অ্যাপোলোজাইজ (দুঃখ প্রকাশ) করেছেন। মন্ত্রী যখন ক্ষমা প্রার্থনা করছেন, তাঁকে কি মাফ করা যায় না?
ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে আজ বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা সাবওয়ের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সবাইকে সবিনয় অনুরোধ করব, অভিভাবকদের অনুরোধ করব—সবার সহযোগিতা চাইছি। দাবিগুলো মেনে নিয়েছি, পূরণ করার ব্যাপারে। আজকে রাস্তার যানবাহন পুড়িয়ে ফেলবে বা ভাঙচুর করবে—এ ভয়ে গাড়ি বের হচ্ছে না, যাত্রীদের কষ্ট হচ্ছে। এগুলো বিবেচনা করবেন।’
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের জামায়াত-শিবির উসকে দিচ্ছে কি না, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যৌক্তিক দাবিতে যদি রাজনীতির কূটকৌশল জড়িয়ে পড়ে, তাহলে আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ রকম রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটছে কি না, কেউ তাদের অতীত আন্দোলনে ব্যর্থতার কারণে কখনো কোটার ওপর, কখনো শিক্ষার্থীদের ওপর সওয়ার হচ্ছে কি না—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিনামা যৌক্তিক। দাবিনামা মেনে নেওয়ার পর যদি আন্দোলন হয়, সেটা কিন্তু অযৌক্তিক হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দাবিনামা মেনে নেওয়ার পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছি। অনেকগুলো দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। যেটা বাকি আছে, সেটা সড়ক পরিবহন আইন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আগামী মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে সে আইনটি অনুমোদন হওয়ার পর সংসদে যাবে। আশা করা হচ্ছে, এ আইনটি পাস হবে।’
সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, অপরাধীদের দ্রুততার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাকিগুলো সড়ক পরিবহন আইনের মধ্য আছে। সংসদে পাস হলে প্রয়োগ করা যাবে। যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের বিচারও সময়ের ব্যাপার। বিষয়টি কোমলমতিরা উপলব্ধি করবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অনেকগুলো দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও এ বিষয়ে বলেছেন। শিক্ষার্থীদের কাছে আহ্বান জানাব, যারা আগামী দিনের নেতৃত্ব দেবে, তারা তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগ দেবে। সবকিছু দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হবে এবং যৌক্তিক সমাধানে যাওয়া হচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন