পঞ্চগড়ে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

পঞ্চগড়ে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা অনুুষ্ঠিত হয়েছে।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে পঞ্চগড় সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগ এর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহযোগিতায় এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. আব্দুল কাদের এর সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী। এছাড়াও সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহরিয়ার নজির।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী বলেন, গ্রাম আদালতে দায়ের হওয়া মামলা সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী আপস-মীমাংসার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা যায়। মামলা মোকদ্দমা ছাড়াই আদালতের বাইরে নিজেদের মধ্যে বসে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে গ্রাম আদালত। এটি বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির একটি ক্ষেত্র তৈরি করেছে। তাই গ্রাম আদালতের ক্ষমতায়ন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সঠিক ধারনা দিতে কর্যক্রম সম্পর্কে ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসাথে সাধারণ মানুষ যেন গ্রাম আদালতে সঠিক বিচার পাই সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে অতিদ্রুত ও সুষ্ঠু বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ইউনিয়ন পরিষদকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। গ্রাম আদালতে সঠিক বিচার না পেয়ে সাধারণ মানুষ উচ্চ আদালতের দারস্ত হচ্ছে। এতে করে দিনে দিনে মামলা জট বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে, উচ্চ আদালতে বিচার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তিনি বলেন, এ থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় গ্রাম আদালত আইন, বিধি অনুযায়ী পরিচালনা করে মামলা নিস্পত্তি করা। আর এ বিষয়ে ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম চালাতে হবে।

সমন্বয় সভায় গ্রাম আদালত কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন, বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩ পর্যায়) প্রকল্পের ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার ডিস্ট্রিক ম্যানেজার মোছা. রুবি আক্তার।

এসময় তিনি বলেন, গ্রাম আদালতের এখতিয়ারভুক্ত মামলা গ্রাম আদালতের মাধ্যমে নিস্পত্তি করতে হবে। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অল্প খরচে অতিদ্রুত বিচার নিশ্চিত করা এবং উচ্চ আদালতের মামলা জট কমিয়ে আনা সম্ভব। এ জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের এখতিয়ারভুক্ত মামলা গ্রহণে সচেতন হওয়া ও দ্রুত মামলা নিস্পত্তি করতে হবে। তিনি উপস্থিত ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরদের বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে গ্রাম আদালতকে কার্যকরী করে তুলি।

অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রোগ্রাম এন্ড ফাইন্যান্স এ্যাসিসটেন্ট মো. মিজানুর রহমান, পঞ্চগড় জেলার সকল ইউনিয়নের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, কিছু সংখ্যক ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩ পর্যায়) প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী দেবন্দ্রণাথ টপ্য, অগ্নি শিখা, মোছা. রাশেদা আক্তার, জিব্রীল ইডেন ও আতিকা ইসলাম।