আনুষ্ঠানিক ভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার প্রচারণা শুরু হওয়ার আগেই পটুয়াখালী-৪ নির্বাচনী এলাকায় রক্ত চক্ষু দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে। আর এই অভিযোগের তীর নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী মো: মাহবুবুর রহমানের ক্যাডার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

এছাড়া নৌকা প্রেমী ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে ১৮ তারিখের পর নৌকা’র প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে থাকতে পারবে না বলে হুমকী দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে । ইসিতে দেয়া অভিযোগে জানা যায়, আ’লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, একাধিক দুদক মামলার আসামী বিদ্রোহী প্রার্থী মাহবুবুর রহমানের পোষ্য সন্ত্রাসী আসলাম হাওলাদার ও তার ছোট ভাই জিয়াউর রহমান এই হমকি দেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার লালুয়া শনিবাড়িয়া বাজারে প্রকাশ্যে হুমকী প্রদান করেন তারা।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসীদের গডফাদার মো. মাহবুবুর রহমান একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে পোষ্য সন্ত্রাসীদের পেশী শক্তি ব্যবহার করে নির্বাচনী মাঠ দখলে নিতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। লালুয়া ও বালিয়াতলি ইউনিয়নের সাধারন ভোটাররা ভিপি জিয়া ও আসলাম বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর জিয়া, আসলাম মদ খেয়ে মাতাল হয়ে শনিবাড়িয়া বাজারের ভোটারদের ডেকে নৌকার পক্ষে ভোট দিলে খুন-জখম সহ হাত পা ভেঙ্গে ফেলার হুমকী দেয়। এছাড়া সন্ত্রাসী ভিপি জিয়া তার ফেসবুক আইডি থেকে উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রচার সহ নৌকা প্রার্থীকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

ভুক্তভোগী ভোটারদের অভিযোগ, ১৮ তারিখের পর নৌকা প্রার্থীর কোন নাম নিশানা থাকবে না বলে আসলাম, জিয়া আমাদের হুমকী দিয়ে গেছে । ভোটের দিন নৌকায় ভোট দিলে তারা হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকী দিচ্ছে। এতে আমরা সাধারন ভোটাররা আতংকিত হয়ে পড়েছি। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ মাহবুবুর রহমানের পক্ষ থেকে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে সাবেক ভিপি জিয়াউর রহমান জানান, আমরা কাউকে হমকি দেয়নি। শুধু মাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে তার নির্বাচনী অফিসে গেছিলাম। এগুলো বানোয়াট কথা।

এবিষয়ে দায়িত্বরত সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এ বিষয়ে নির্বাচনী বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।