পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্বাচন বানচাল করতে ওয়ার্ড বিভাজনের কৌশল
আগামী ২০২৩ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচন বানচাল করতে ওই ইউনিয়নের ৭,৮,৯ এবং ২,৪ ও ৬ নং ওয়ার্ডকে বিভাজন করার লক্ষে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পটুয়াখালীর উপপরিচালক বরাবরে আবেদন করেছে ইউনিয়ন পরিষদ।
গত ২৪ আগষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ তালুকদার এ আবদেন করেন। ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয় ৭,৮,৯ এর কৃষি জমি সহ সকল স্থাপনা এবং ২,৪, ৬ নং ওয়ার্ডের জমি ঘর আংশিক অধিগ্রহন করা হয়। অধিগ্রহনকৃত গ্রামের সকল অধিবাসীকে সরকারী আবাসনে অন্যত্র পুর্নবাসিত করা হয়েছে। যাহা পুর্বের ওয়ার্ড বা গ্রামের মধ্যে। এমন সব ভুল্য তথ্য দিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অফিসে আবেদন করা হয়েছে বলে ফুসে উঠেছেন স্থানীয় জনগন।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আনন্দ বাজার এলাকায় প্রতিবাদ সভা করে স্থানীয় হজারো মানুষ। এসময় বক্তব্য রাখেন ধানখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহাজাদ পারভেজ টিনু মৃধা, সাধারন সম্পাদক জাকির মৃধা, মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রব, ধানখালী ইউনিয়ন ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি দলিল উদ্দিন মাতবর ও ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির স়ভাপতি আবুল হাওলাদার। এসময় দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে রেজুলেশন করে আবেদনে উল্লেখ করেছেন জমি অধিগ্রহনের ফলে ৩ টা ওয়ার্ড পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এছাড়া ৩ টা ওয়ার্ড আংশিক বিলুপ্ত হয়েছে। মূলত এসব ওয়ার্ড বিলুপ্ত হয়নি। এসব ওয়ার্ডে এখনো ভোট কেন্দ্র আছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহনের পর এসব এলাকার মানুষ সংসদ নির্বাচন এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মানুষ ভোট দিয়েছে। মূলত ভোট স্থগিত করার লক্ষে বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়ার্ড বিভাজনের কৌশল অবলম্বন করেছেন।
এবিষয়ে ধানখালী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ তালুকদার বলেন, নির্বাচন বানচাল করা আমার উদ্দেশ্য নয়। যথা সময়ে নির্বাচন হোক তাও আমি চাই। তবে জমি অধিগ্রহনের ফলে যেসকল ভোটাররা স্থানান্তরিত হয়েছে তাদের বিষয়ে সঠিক সমাধান হওয়া জরুরি বলে জানান তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন