পদার্থবিদ্যা নিয়ে কাজ করে তিন বিজ্ঞানীর নোবেল জয়

লেজার পদার্থবিদ্যায় যুগান্তকারী উদ্ভাবনের জন্য এবছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও কানাডার তিন বিজ্ঞানী।

তারা হলেন আর্থার অ্যাশকিন (যুক্তরাষ্ট্র), জেরার্ড মোরো (ফ্রান্স) এবং ডনা স্ট্রিকল্যান্ড (কানাডা)। ডনা পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে গত ৫৫ বছরের নারীদের নোবেল বন্ধ্যাত্ব ঘোচালেন।

রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি জানিয়েছে, এবছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারের অর্ধেক পাবেন আর্থার অ্যাশকিন আর বাকি অর্ধেক পাবেন জেরার্ড মোরো এবং ডনা স্ট্রিকল্যান্ড।

বিজ্ঞানী আর্থার অ্যাশকিন অপটিকাল টুইজারস আবিস্কার করেন, যেটা আলোকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণাকেও নিপূণভাবে ব্যাবহার করার সুযোগ দেয়। অন্য দুই বিজ্ঞানী জেরার্ড মোরো ও ডনা স্ট্রিকল্যান্ড কাজ করেছেন খুবই ছোট ও তীব্র লেজার পালসের উন্নয়ন নিয়ে।

৫৫ বছর আগে ১৯৬৩ সালে দ্বিতীয় ও সর্বশেষ নারী হিসেবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পান মারিয়া গোপার্ট মেয়ার। এর আগে ১৯০৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পান মেরি কুরি।

২০১৭ সালে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ (গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ) সনাক্ত করে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পান লিগোর (লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্রাভিটেশনাল-ওয়েভ অবজারভেটরি) তিন বিজ্ঞানী রাইনার উইস, কিপ এস থর্ন, ব্যারি সি ব্যারিশ।

সুইডিশ রসায়নবিদ আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছানুসারে ১৯০১ সাল থেকে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, মেডিসিন, শান্তি ও সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। অর্থনীতিতে নোবেল দেওয়া হয় ১৯৬৯ সাল থেকে।