পদ্মা সেতুর উচ্চমাত্রার টোল পুনর্বিবেচনা করতে হবে: আ স ম রব
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগেই সেতু পারাপারে মাত্রাতিরিক্ত টোল জনগণের ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায়ে নির্ধারণ করে সরকারকে সংশোধিত গেজেট প্রকাশের দাবি জানিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব গণমাধ্যমে বিবৃতি প্রদান করেন।
জনগণের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের পর আবার মাত্রাতিরিক্ত টোল নির্ধারণ কোনক্রমেই দেশের বিদ্যমান আর্থসামাজিক বাস্তবতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
ভয়ঙ্কর মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া ঊর্ধ্বগতির প্রেক্ষিতে পদ্মা সেতু পারাপারের টোল অর্থাৎ মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়িসহ যাত্রী এবং পণ্যবাহী সব ধরনের যানবাহনের মাত্রাতিরিক্ত টোল সাধারণ মানুষের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন ব্যয় অনেক বৃদ্ধি পাবে। উচ্চমাত্রার টোলের খেসারত দিতে হবে দেশের সকল শ্রেণীর মানুষকে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে।
এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। ইতোমধ্যেই অর্থমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন পদ্মা সেতু তৈরি করতে যত খরচ হয়েছে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ টোল আদায় করা হবে। জনগণের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় গণমুখী কোন নীতি নয়। শুধুমাত্র টোল আদায়ের জন্য কোরিয়া এবং চীনের প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভরশীলতা দেশীয় প্রতিষ্ঠানের বিকাশ ও দক্ষতা বৃদ্ধির সহায়ক নয়।
পদ্মা সেতু পারাপারে নির্ধারিত উচ্চমাত্রার টোল দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রত্যাশিত উন্নয়ন এবং সহজ যাতায়াত ব্যহত করবে – এসব বিষয় সরকারকে অবশ্যই গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিতে হবে।
সেতু চালুর আগে প্রকল্প প্রস্তাব আবারও সংশোধনের নামে অতিরিক্ত ব্যয় বৃদ্ধির প্রশ্নেও সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন