পদ না পেয়ে রামদা নিয়ে ছাত্রলীগের মিছিল!
ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে প্রত্যাশিত পদ না পেয়ে রামদা ও লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল করেছে একদল ছাত্রলীগ নেতকর্মী। এ সময় নতুন কমিটিতে পদ পাওয়া এবং না পাওয়াদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ারও ঘটনা ঘটে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের গৌরীপুরে উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় নতুন কমিটিতে পদ পাওয়া এবং না পাওয়াদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ারও ঘটনা ঘটে। এদিকে নতুন কমিটির নেতারা শোডাউন করে ময়মনসিংহ নগরী থেকে গৌরীপুর উপজেলা সদরে ঢোকার সময় বাকিতে তেল না পাওয়ায় বিকেলে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাফেজ আজিজুল ইসলামের পেট্রলপাম্প ভাঙচুর করে।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, গত মঙ্গলবার রাতে গৌরীপুর উপজেলা এবং পৌর শাখা ছাত্রলীগের দুই সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রকিবুল ইসলাম রকিব এবং সাধারণ সম্পাদক সরকার মো. সব্যসাচী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আগামী এক বছরের জন্য এ কমিটি অনুমোদনের কথা জানানো হয়।
নতুন কমিটিতে আল মুক্তাদির শাহীনকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ইমতিয়াজ সুলতান জনিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। একই সঙ্গে আল হোসাইনকে সভাপতি এবং মোফাজ্জল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে পৌর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। দুই কমিটির নেতারাই আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য নাজিমউদ্দিন আহমেদের অনুসারী বলে পরিচিত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নতুন কমিটির নেতারা গৌরীপুর উপজেলায় ঢোকার সময় বাকিতে তেল আনতে যায় স্থানীয় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাফেজ আজিজুল ইসলামের পেট্রলপাম্পে। এ সময় তাদের তেল না দেওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে পেট্রলপাম্পে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ করেন ওই বিএনপি নেতা।
অন্যদিকে নতুন কমিটির নেতাদের উপজেলায় প্রবেশের খবরে বিক্ষুব্ধরা বিকেল থেকেই পৌর শহরের প্রধান সড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা সদ্য সাবেক কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে নানা স্লোগান দিয়ে দা ও রামদাসহ মিছিল বের করে। আর নতুন কমিটির নেতারা উপজেলায় প্রবেশ করে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু চত্বরে অবস্থান নেয়। এ সময় দুপক্ষের মাঝে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ সুলতান জনি বলেন, ‘গায়ের জোরে মিজান গংরা কমিটি বহাল করতে চেয়েছিল। এজন্য ওরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে দা-রামদা মিছিল করেছে। আমরা ওদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’
উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
রামদা নিয়ে মিছিলের ব্যাপারে গৌরীপুর থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, ‘দুপক্ষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এখানে কোনো ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া বা রামদা মিছিলের খবর নেই আমাদের কাছে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন