পাকিস্তানের ভেবে নিজেদের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত করে ভারত
পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ভারতের বিমান হামলার জবাবে পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের আকাশে হানা দেয় পাকিস্তানের একাধিক যুদ্ধবিমান।
ওই সময় ‘ডগ ফাইটে’ একটি ভারতীয় মিগ-২১ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয় এবং এর পাইলটকে আটক করে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের দাবি অনুযায়ী, তারা আরেকটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করেছিলো। যদিও সেই যুদ্ধবিমানের কোনো হদিস এখনও দিতে পারেনি দেশটি।
অন্যদিকে ভারত দাবি করেছিলো, পাকিস্তানি একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত করেছে তারা। পাকিস্তান জানিয়েছে তারা সেদিনের অভিযানে কোনো এফ-১৬ বিমান ব্যবহারই করেনি। আবার ভারতও প্রমাণসহ দেখাতে পারেনি কোথায় এবং কিভাবে পাকিস্তানী যুদ্ধবিমানটি ভূপাতিত করা হয়েছিল। এটির পাইলটই বা কোথায় আছে।
ওই একই দিন কাশ্মিরের বুদগাম এলাকায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। এতে ৭জন অফিসার নিহত হন। প্রাথমিকভাবে বিধ্বস্তের কারণ হিসেবে কারিগরি ত্রুটির কথা বলা হয়েছিল।
তবে গত ২৮ মার্চ ভারতীয় পত্রিকা ইকোনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় হেলিকপ্টারটি আসলে কারিগরি ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়নি। কারণ, ২০১২ সালে রাশিয়ায় উৎপাদিত এই প্রজন্মের হেলিকপ্টারগুলোতে এখন পর্যন্ত কোনো ত্রুটি দেখা যায়নি।
ইকোনোমিক টাইমস বলছে, ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগের তদন্তকারীরা প্রমাণ পেয়েছেন যে, Mi17 V5 মডেলের কপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে ভারতীয় একটি যুদ্ধবিমান থেকে একটি স্বল্প পাল্লার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছিল। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দিলেও তদন্তকারীদের মধ্যে এখন এই ধারণাই পাকাপোক্ত হচ্ছে যে, ভারতের ছোঁড়া সেই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়, সম্ভবত ‘ফ্রেন্ডলি ফায়ারে’ ভূপাতিত হয়েছিল হেলিকপ্টারটি।
তদন্তকারীরা এখন পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াইয়ের সেই মুহূর্তগুলো আবারো তদন্ত করে দেখছেন। শেষ মুহূর্তে আসলেই কী হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আইএফএফ (আইডেনটিটি, ফ্রেন্ডস অর ফো তথা শত্রু-মিত্রের পরিচয় শনাক্ত) ব্যবস্থা চালু নাকি বন্ধ ছিল, কী ধরনের ভুল হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, নিচ দিয়ে উড়ে যাওয়া চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) ভেবে টার্গেটিং সিস্টেমের ভুলে হেলিকপ্টারটির ওপর হামলা চালানো হয়ে থাকতে পারে বলে সম্ভাবনার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার মুহূর্তে বিকট শব্দ শোনা যায় বলেও জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন