পাকিস্তানে নির্বাচনী প্রচারণায় হামলায় নিহত ৮৫
পাকিস্তানে নির্বাচনী প্রচারণার মিছিলে পৃথক দুটি আÍঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এ নারকীয় এ হামলায় এক প্রার্থীসহ ৮৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ। বেলুচিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এএফপি।
শুক্রবার সকালে বেলুচিস্তানের দ্রিনগড় এলাকায় চালানো হয় দ্বিতীয় হামলাটি। এতে বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির প্রার্থী মীর সিরাজ রাইসানিসহ ৮৫ জন নিহত হন। এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। আমাকের বরাত দিয়ে এএফপি এ তথ্য নিশ্চিত করে।
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ খাইবার পাখতুনখাওয়ার বান্নু জেলায় প্রথম হামলাটি চালানো হয়। এতে পাকিস্তানের ধর্মভিত্তিক দল জমিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল পার্টির (জেইউআই-এফ) ৪ নেতাকর্মী নিহত হন। আহত হন আরও অন্তত ৩২ জন।
২৫ জুলাই পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনের আগে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। গত ২ দিন আগেও নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলার কারণে নির্বাচন সামনে করে প্রার্থীদের পাশাপাশি জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে দেশটিতে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে।
শুক্রবার সকালে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ খাইবার পাখতুনখাওয়ার বান্নু জেলা উত্তর ওয়াজিরস্তানে জেইউআই-এফ পার্টির একটি মিছিল লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এ হামলায় মোটরসাইকেলে বোমা বেঁধে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটায় হামলাকারী। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী আকরাম খান দুররানি। এতে নিহত হন ৪ জন। তবে নিরাপদ রয়েছেন আকরাম দুররানি।
এর কয়েক ঘণ্টা পর বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে ৩৫ মাইল দক্ষিণে দ্রিনগড় শহরে বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির একটি মিছিল লক্ষ্য করে হামলা চালায় এক হামলাকারী। এতে পার্টির প্রার্থী সিরাজ রাইসানিসহ ৬৬ জন নিহত হন। প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগা উমর বুনগালজাই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সিরাজ রাইসানির ভাই লস্করি রাইসানি জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত সিরাজকে কুয়েটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি মারা যান। সিরাজ ওই প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মীর আসলাম রাইসানির ছোট ভাই।
এর আগে মঙ্গলবার পাকিস্তানের পেশোয়ারে এক নির্বাচনী জনসভায় আÍঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তালেবানবিরোধী দল আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির নেতা ও (এএনপি) প্রার্থী হারুন বিলোয়ারসহ ২০ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় আহত হন আরও কমপক্ষে ৬২ জন। নির্বাচনে পেশোয়ারের পিকে-৭৮ আসনের প্রার্থী ছিলেন এএনপির প্রার্থী হারুন বিলোয়ার। তার মৃত্যুর পর ওই আসনে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন