পাকিস্তান সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া!
পাকিস্তান সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া! অনেকের কাছে তা সূদূর পরাহত হলেও আশায় বুক বেঁধেছে পাকিস্তান। সন্ত্রাসকবলিত দেশটিতে যেখানে ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজনই হুমকিস্বরূপ, সেখানে দুই হেভিওয়েট দেশ সফরে আসছে তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।
তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বিশ্বাস-দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে আসতে সক্ষম হবে তারা। সেই উদ্দেশ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়াল দিয়েছেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট এহসান মানি।
এ মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আছে পাকিস্তান। বুধবার বক্সিং ডেতে সেঞ্চুরিয়ানের সুপারস্পোর্ট পার্কে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। প্রোটিয়াদের পটাতে এ সময়টিকেই বেছে নিয়েছেন এহসান মানি। নিজ দেশে সফরে আসতে তাদের মন গলানোই হচ্ছে তার মুখ্য উদ্দেশ্য।
২০০৯ সালে লাহোরে টিম শ্রীলংকার ওপর বর্বর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এর পর থেকে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নির্বাসিত। সেখানে মূলধারার ক্রিকেট ফেরাতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে পিসিবি। সহায়তার দুই হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা (আইসিসি)। ইতিমধ্যে দেশটিতে কয়েকটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজিত হয়েছে।
তবে ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলো মনে করছে, পাকিস্তানে এখনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। তবে এর ধার ধারছে না পিসিবি। নতুন বছর ২০১৯ সালে ঘরের মাটিতে সীমিত ওভারের সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আতিথ্য দিতে চায় তারা। এ নিয়ে বেশ আশাবাদীও।
কেবল দক্ষিণ আফ্রিকা নয়, অস্ট্রেলিয়ার ওপরও পাখির চোখ করে আছে পাকিস্তান। হোমগ্রাউন্ডে পুরোদমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে অজিদেরও নিয়ে আসতে চাচ্ছে তারা। আসছে মার্চে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান। সিরিজটি হওয়ার কথা পাকিস্তানের তথাকথিত হোম ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
তবে পিসিবি চাইছে-সেই সিরিজের অন্তত দুটি ম্যাচ করাচিতে আয়োজন করতে। এ ব্যাপারে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে (সিএ) প্রস্তাব দেয়ার মনোস্থির করেছে তারা। বেশ আশাবাদীও-স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের সম্ভাব্য ফেরার সিরিজটিতে তাদের প্রস্তাবে রাজি হবে সিএ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন