পাঠ্যপুস্তক তৈরি হয়েছে তেঁতুল হুজুরের প্রেসক্রিপশনে
২০১৮ সালের পাঠ্যপুস্তকে সেই তেঁতুল হুজুরের (আল্লামা শফি) প্রেসক্রিপশনে যেগুলো আছে, তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী।
তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। এত দিন ধরে আলোচনা, গবেষণা, উপস্থাপন করে তথ্য-উপাত্ত দেয়ার পরেও আমাদের পাঠ্যপুস্তক সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ উৎপাটন করতে পারিনি।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি হচ্ছে- সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিষবাষ্প; যে শিক্ষা জন্ম থেকে শিশু শিক্ষার্থীদের মনে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে, উনি হিন্দু লেখক, উনি মুসলমান লেখক ইত্যাদি, সেই জায়গায় নীতিনির্ধারকদের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। তারা কোন পরিপ্রেক্ষিতে, কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এটা করছেন, তা আমরা জানি না। আমাদের শিশুদের, শিক্ষার্থীদের মনের মধ্যে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাটা রাখতে চাই। সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ নয়।
সংবাদ সম্মেলনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, অতিকেন্দ্রিকতা ও ঔদাসীন্য পরিহার করে সর্বজনের সচেতন ও সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সামাজিক শক্তির পুনর্জাগরণ করতে হবে। সামাজিক পুনর্জাগরণ সৃষ্টি করে দেশটিকে এমন একটা জায়গায় নিতে হবে, যেখানে যখন-তখন নারী নির্যাতন হবে না, দলগত ধর্ষণ হবে না।
তিনি আরো বলেন, এখনই রুখে দাঁড়াতে না পারলে সেটা এমন একটা জায়গায় পৌঁছাবে, যেখানে ৭৫-পরবর্তী সময়ে যে ক্রমে ক্রমে প্রতিটি ক্ষেত্রে কূপমণ্ডূক, সাম্প্রদায়িক, রক্ষণশীল জঙ্গিবাদী শক্তি ঢুকে গেছে, ঠিক সেভাবে যে জায়গাগুলো অবশিষ্ট আছে, সেখানেও সাম্প্রদায়িকতা ঢুকবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন