পাবনার আটঘরিয়ায় মাসব্যাপী পৌর কুটির শিল্প মেলা শুরু
সুস্থ বিনোদনের ধারা ফিরিয়ে আনতে পাবনার আটঘরিয়ায় শুরু হয়েছে মাসব্যাপী পৌর কুটির শিল্প মেলা। রবিবার (৫ জুন) বিকেল আটঘরিয়া সরকারি কলেজ মাঠে মেলার উদ্বোধন করেন আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাকসুদা আক্তার মাসু।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. তানভীর ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরিফুজ্জামান, আটঘরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দেবোত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোহাঈম্মিন হোসেন চঞ্চল, আটঘরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খাইরুল ইসলাম বাসিদ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতির অংশ এই মেলা। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে গত দুই বছর বাংলাদেশে সব ধরনের মেলা বন্ধ ছিল। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আবারও আমরা মেলার বিনোদনের সুযোগ পেয়েছি। তারই অংশে এই মেলা। বর্তমানে সুস্থ বিনোদনের অভাব রয়েছে। বিশেষ করে তরুণদের মাঝে। আমাদের তরুণরা আজকে বেশিরভাগ সময়ে স্মার্টফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এই মেলা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সুস্থ বিনোদনের সঙ্গে পরিচয় করে দিবে।
জাঁকজমকপূর্ণ ও সুস্থ বিনোদনের মাধ্যমে এই মেলার কার্যক্রম চলবে। কোন ধরনের জুয়া ও অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন হবে না। এছাড়াও প্রবেশ টিকিট বাধ্যতামূলক নয় বলে আয়োজকদের পক্ষ ঘোষণা দেন আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. তানভীর ইসলাম।
উল্লেখ্য যে, দীর্ঘ ২২ বছর পর এই মেলার আয়োজন করেছে আটঘরিয়া পৌরসভা। মেলায় স্টল রয়েছে প্রায় অর্ধশত। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। ২০ টাকা মূল্যের প্রতিদিন রাফেল ড্রয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এটি মেলা স্থলে সবার সম্মুখে প্রতিদিন রাত ১০টা ১ মিনিটে ড্র অনুষ্ঠিত হবে।
মেলার স্টলে পোষাক, সিরামিক, কসমেটিক্স, জুয়েলারি, ইলেকট্রনিক্সসহ নানা ধরনের পণ্যের পসরা নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। মেলার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ সার্কাস ও জাদু প্রদর্শন। সার্কাস পরিবেশন করবে ঢাকা নবাবগঞ্জের অলিম্পিক সার্কাস টিম ও জাদু পরিবেশন করবে বগুড়ার নিউ মিতা জাদু।
বিনোদনের জন্য আরও আয়োজন করা হয়েছে ট্রেন, নাগরদোলা, চরকি, মিনি ম্যাজিক নৌকা রাইডসহ নানা ধরনের খেলনা। মেলায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন। বরই, তেঁতুল, কলা, জলপাই, আমড়ার টক-ঝাল-মিষ্টি ভর্তাও আছে। পাওয়া যাবে চুড়ি, ব্রেসলেট, কানের দুল, পুঁতির মালা, কাঠের মালা, রকমারি টিপ, নূপুর, ক্লিপসহ বিভিন্ন ধরনের রকমারি পণ্য।
মেলায় ১৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষনিক নিয়ন্ত্রণ করবে প্রশাসন। সুস্থ ধারার বিনোদন ও দেশি কুটির শিল্পের প্রসারের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশের সার্বিক অনুমোদন নিয়ে এই মেলার আয়োজন। মেলাতে প্রতিদিন স্থানীয় শিল্পিরা নাচ গান পরিবেশন করবেন। মেলার প্রথম দিনে ক্লোজআপ তারকা সালমা গান পরিবেশ করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন