পাবনার চাটমোহরে ২১ বছরে হয়নি সেতুর সংযোগ সড়ক!
পাবনা চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়ায় সমাজ গ্রামে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৭০ ফুট একটি সেতু দীর্ঘ প্রায় ২ যুগ ধরে জনসাধারণের কোন কাজে আসছে না। সেতুটি সংষ্কার না করায় ৫ গ্রামের মানুষ যাতায়াতসহ কৃষি কাজের নানান সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সমাজ মিয়াপাড়া-বলচপুর সংলগ্ন করতোয়া শাখা সমাজ ঝিটকি কাটা নদীর ওপর ২০০১সালে সেতুটি নির্মিত হয়। নির্মাণের বছর থেকেই সেতুর দুই পাশের মাটি বন্যায় ভেঙে গেলেও এ পর্যন্ত নজরে আসেনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। ফলে এ রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। সরকারের অর্থ অপচয় করা হয়েছে এই সেতু নির্মাণে।
এতে গদাইরূপসী, সমাজ বলচপুর, মিয়াপাড়া, বানীয়াবহু, সাতবাড়ীয়া, ময়দানদিঘীসহ কয়েক গ্রামের মানুষকে অন্য রাস্তা ঘুরে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে। ফলে স্থানীয়দের ওই গ্রামে পৌঁছাতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ, অফিস-আদালতে যেতে এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তি হচ্ছে।
সেতু সংলগ্ন বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমার জানামতে ২০০১ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু নির্মাণের দীর্ঘ বছরেও সেতুটি কোন কাজে আসছে না এলাকাবাসীর।
তিনি আরো বলে, সেতুর দু’পাশে গোড়ায় মাটি ভরাটসহ রাস্তাটি উচ্চ করে তৈরি করতে হবে। রাস্তা ও সেতু সমস্যায় মাঠের ফসল আনাসহ এলাকাবাসীর অনেক উপকার হতো।
সমাজ গ্রামের ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান বলেন, প্রায় ২১ বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল ৭০ ফুট দীর্ঘ একটি কংক্রিটের সেতু। তবে এটি কখনোই ব্যবহার করা হয়নি। কারণ এই সেতুর দু’পাশে নেই সংযোগ সড়ক। তাই সেতুটি অনেকটা দ্বীপের মতোই একাকি নিরবে দাঁড়িয়ে আছে।
নিমাইচড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোছাঃ নুরজাহান বেগম মুক্তি জানান, আমি নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, সেতু নির্মাণ বিষয়ে আমার ভালো জানা নেই, গ্রামের ওই রাস্তাটি অনেক প্রয়োজন ও জনগুরুত্বপূর্ণ, রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করা দরকার। খোঁজ নিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করবো।
চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, আমি কয়েক মাস হচ্ছে উপজেলায় যোগদান করেছি। আমার জানামতে সেতুটি এলজিইডি করেনি। এলজিইডি নির্মিত সেতুর কোনও সমস্যা হলে দ্রুত সংষ্কার করা হয়। সম্ভবত এই সেতু একটি প্রকল্পের আওতায় করা হয়েছিল।
তবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সংষ্কারের চেষ্টা করবো আমরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন