পাবনার ভাঙ্গুড়ায় আমেরিকান পুলিশের গ্রামের বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতিতে তরুণীর অনশন

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় আমেরিকান পুলিশে কর্মরত তরিকুল ইসলাম রতন নামে এক যুবকের গ্রামের বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে অনশনে বসে রাখি (৩২) নামে এক তরুণী। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পুলিশ ওই তরুণীকে বুঝিয়ে তার পরিবারের হাতে তুলে দেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে ওই কলেজ ছাত্রী উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আমেরিকান পুলিশে কর্মরত রতনের বাড়িতে অনশনে বসে। রতন বর্তমানে আমেরিকাতে অবস্থান করছে। রাখি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর পৌরসভার রামবাড়ী এলাকার মৃত গোলাম হোসেনের মেয়ে।

অনশনরত ওই ছাত্রী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে রাখির সঙ্গে রতনের ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। কিছুদিন পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরের বছর অনলাইনে ভিডিও কলে রাখিকে বিয়ে করে রতন। ২০১৭ সালের শেষের দিকে রতন আমেরিকা থেকে দেশে এসে বিভিন্ন হোটেলে রাখির সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এরপর ২০১৯ সালে রতন আবারও দেশে এসে গোপনে রাখির সাথে শারীরিক মেলামেশা করে। এবার ছয় মাস দেশে থাকার পর আরেকটি বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে আমেরিকা চলে যায় রতন। তবে রতনের দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি গতকাল পর্যন্ত জানতো না রাখি। এই অবস্থায় সম্প্রতি রাখির সঙ্গে যোগাযোগে অনীহা দেখায় রতন। নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার রাখি রতনের গ্রামের বাড়িতে এসে অনশনে বসে।

এদিকে রাখির একদিন অনশনের পরে শুক্রবার দুপুরে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের (ওসি) তদন্ত মিজানুর রহমান ও এসআই আকরাম হোসেন ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য যান। সেখানে তদন্ত শেষে রাখিকে নিয়ে থানায় আসেন তারা। রাখি থানায় রতনের বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলে ওসি নাজমুল হক পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসার পরামর্শ দেন। এ সময় রাখিকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেন ওসি নাজমুল হক।

অভিযুক্ত রতনের ভাই আরিফুল ইসলাম বলেন, অনশনরত মেয়ের সঙ্গে আমার ভাইয়ের কোন সম্পর্ক নেই। আমার ভাইকে ফাঁসানোর জন্য সে মিথ্যা গল্প সাজিয়ে অনশন করছে।

ভাঙ্গুড়া থানার এসআই আকরাম হোসেন বলেন, শুনেছি রতন আমেরিকান পুলিশে চাকরি করে। নিরাপত্তার স্বার্থে ওই তরুণীকে থানায় নিয়ে আসা হয়।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক বলেন, বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধানের জন্য মেয়েটিকে বুঝিয়ে তার পরিবারের কাছে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তারা চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে।