পাল্টে গেল তরুণীর জীবন, কী যাদু আছে এই চায়ে?
২০০২ সালে ভারত ভ্রমণে গিয়ে দেশটির চায়ের প্রেমে পড়েন আমেরিকার কলোরাডোতে বসবাসকারী ব্রক ইডির। দুধ ও চাপাতার সংমিশ্রণে তৈরি সে চায়ের স্বাদে তিনি এতই মজে যান যে, ভ্রমণ শেষে নিজ দেশে ফিরে কলোরাডোর বিভিন্ন ক্যাফেতে ভারতীয় চা হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়ান। কিন্তু কোথাও তিনি তার হদিস পাননি। বরাবরই তাকে হতাশ হতে হয়েছে।
তাই বলে দমে যাওয়ার পাত্রী নন ইডি। মনে মনে ঠিক করেন, যদি কোথাও না পাওয়া যায় সেই চা তবে তিনি নিজেই তৈরি করবেন তা। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। এরপর ২০০৬ সালে ‘ভক্তি চা’ নামে নিজের তৈরি চায়ের ব্যবসাই শুরু করে দিলেন তিনি। আর ব্যবসার জায়গা হিসেবে বেছে নেন নিজের গাড়িটিকেই। গাড়ির পেছনে গ্যালন ভর্তি করে মানুষের কাছে চা বিক্রি করা শুরু করেন তিনি। খুব অল্প ক’দিনের মধ্যেই আদা আর মসলাদার এই ঠান্ডা চায়ের অনেক ভক্ত তৈরি হয়।
২০০৭ সালে নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ‘ভক্তি চা’র কথা জেনে যায় আরো অনেকে। এভাবে ইডির চা ব্যবসা এতটাই জমে যায় যে, এক বছর পর তিনি তার চাকরি ছেড়ে দিয়ে ভক্তি চায়ের বিপণন ও ব্যবসায়িক অবকাঠামো তৈরিতে মনোযোগী হয়ে ওঠেন। কিছুদিনের মধ্যেই ঘরে তৈরি এই চা চলে যায় কলোরাডোর বিভিন্ন কফি শপে।
একটি মার্কি সাময়িকীতে ভারতের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে গিয়ে ইডি বলেন, ‘জিপ্সি বাবা-মায়ের ঘরে জন্মগ্রহণ করা একজন শ্বেতাঙ্গ মেয়ে আমি, বেড়ে উঠেছি মিশিগানে। সে অর্থে ভারতের জন্য নাড়ির টান অনুভব করা আমার কথা নয়। তবুও আমি প্রচণ্ড এক টান অনুভব করি। সেখানকার কোলাহল ভালোবাসি। প্রতিবারই এখানে এসে নতুন নতুন জিনিসের সঙ্গে পরিচিত হই।’
যমজ সন্তানের মা ইডি এন্ট্রাপ্রেনার ম্যাগাজিনের জরিপে ২০১৪ সালে বছরের সেরা উদ্যোক্তা পুরস্কারের জন্য সেরা পাঁচজনের মধ্যে একজন নির্বাচিত হন। শুধু চায়ের ব্যবসা করে এ বছর তার প্রতিষ্ঠান ৭ মিলিয়ন ডলার রাজস্ব প্রদান করেছে। -এনডিটিভি
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন