পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সরকারী প্রকল্পের টাকা দিয়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মঠবাড়িয়া পৌর শহরের নব নির্মিত বহুমুখী ফিস মার্কেটের পূর্ব পাশে জেলা পরিষদের খালের পাড়ে একটি আধা পাকা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। অবৈধ স্থাপনাটি নিরাপদ করতে এর পাশেই খালের মধ্যে স্পাপন করা হয়েছে একটি বায়োগ্যাস প্লান্ট।
সরকারী খালের পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে অবৈধ বায়োগ্যাস প্লান্ট সহ অবৈধ স্থাপনাটি উচ্ছেদ করার জন্য গত ১৩ মার্চ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুল হক (মজনু)।
জানা গেছে, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় ৯ কোটি ২০ লাখ টাকায় মঠবাড়িয়া পৌর শহরে ৩ তলা বিশিষ্ট একটি বহুমুখী ফিস মার্কেট নির্মিত হয়।নির্মান কাজের শুরু থেকেই স্থানীয়ভাবে বেশ প্রভাবশালী একটি মহল স্টিমেট (প্রাক্কলন) তোয়াক্কা না করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও সরকারী অফিস ম্যানেজ করে মনগড়াভাবে ভবনটি নির্মানে প্রভাব বিস্তার করে।স্টিমেট অনুযায়ী ভবনটি নির্মিত না হওয়ায় ৩ বছর পরেও এটি চালু করা সম্ভব হয়নি।
ভবনটির উত্তর পাশে ডিসিআরের নামে ১৬টি অবৈধ দোকান নিরাপদ করার জন্য স্টিমেটের নিয়ম বহির্ভূত দেয়াল দেয়া হয়েছে। গ্রাউন্ড ফ্লোর সম্পূর্ণভাবে খোলা রাখার কথা থাকলে দেয়াল দিয়ে আটকিয়ে দেওয়ায় মার্কেটটি এখন বসত ঘরে পরিনত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ১৬টি দোকান ঘর উচ্ছেদ করলেও দেয়ালটি এখনও ভাঙা হয়নি।উপরন্তু প্রকল্পের টাকা দিয়েই ফিস মার্কেট সংলগ্ন খালের পাড়ে নির্মান করা হয়েছে আধা পাকা একটি অবৈধ স্থাপনা। সাধরন মানুষ এতদিন এ ঘরটিকে ফিস মার্কেটর নির্মিত ভবনের নির্মান সামগ্রী রাখার অস্থায়ী গৃহ মনে করলেও এখন শোনা যায় ভিন্ন কথা।অবৈধ দখলদাররা নানা কৌশলে সরকারী অফিস ম্যানেজ করে এ ঘরটি ডিসিআর নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঠবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস জানান,ঘরটি সরকারী প্রকল্পের টাকা দিয়ে করা হয়নি।এটি ডিসিআর নেওয়া হয়েছে। তবে পৌরসভার নাকের ডগায় থাকা এ ঘরটি কিসের তা জানেন না বর্তমান পৌর সচিব হারুন অর রশীদ।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ড সৈকত রায়হান জানান, এ ঘরটি কিসের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে এবং কোন অবস্থায় আছে তা আমার জানা নেই।অভিযোগ তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পিরোজপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান,লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এখনই নির্দেশ দিচ্ছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন