পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ব্লেড দিয়ে মাথা কেটে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় মামলা
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বুখইতলা বান্ধবপাড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে হয়রানি করার জন্য ব্লেড দিয়ে মাথা কেটে ধারালো দায়ের কোপ বলে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শারমিন ওরফে হোসনেআরা নামে এক নারীর মাথা কেটে মহারাজ হাওলাদার বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। হোসনেআরা বুখইতলা বান্ধবপাড়া গ্রামের মৃত চান মিয়া হাওলাদারের মেয়ে। তার স্বামীর নাম আঃ হোসেন। আর মহারাজ বুখইতলা বান্ধবপাড়া গ্রামের মজিবুর রহমান পনুর ছেলে।
জানাগেছে, সাপলেজা ইউনিয়নের বুখইতলা বান্ধবপাড়া গ্রামের আঃ হামিদ হাওলাদারের সাথে মিলন ও ইসমাইল হোসেন হিরুদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলমান আছে। সম্প্রতি মিলন সৌদি আরব থেকে বাড়িতে এসে কবরস্থানের পাশে থাকা বাড়ির চলাচলের রাস্তার মাঝখান দিয়ে কবরস্থানের দেয়াল টানার চেষ্টা করে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট আঃ হামিদ গং এ বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি লিখিত অভিযোগ দিলে কাজ বন্ধ থাকে। এরপর গত ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিরাজ মিয়া সরেজমিনে এসে কবরস্থানের দেয়াল নির্মানের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে দেন। চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল থেকে যেতে না যেতেই মিলনের ছেলে মেহেদি অর্ধ শতাধিক নারী-পুরুষ নিয়ে আঃ হামিদ গংদের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। এসময় তাদের হাতে দাও,লাঠি,লোহার রড ও রামদা ছিল। আঃ হামিদ গং বাড়ির ভিতর অবস্থান করে আত্মরক্ষা করেন।
চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে হুমকি এবং চেয়ারম্যান চলে যাওয়ার পর হামলা চেষ্টা করায় বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য এবং বিরোধীয় জমি সুষ্ঠু বন্টন না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার জন্য আঃ হামিদ হাওলাদারের ছেলে সাংবাদিক শাহজাহান মঠবাড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরদিন সকালে এএসআই মামুন এলাকায় এসে শালিস বৈঠক মানিয়ে দেওয়ার জন্য উভয় পক্ষকে ওই দিন সন্ধ্যায় থানায় ডাকেন।কিন্তু মিলনের ছেলে মেহেদি ও মিলনের চাচাতো ভাই মহারাজ বাবার বাড়িতে থাকা শারমিন ওরফে হোসনেআরা নামে অসহায় এক নারীর মাথা কেটে পুলিশ কেসের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে এবং থানায় এজাহার দাখিল করে। ২০ এপ্রিল দুপুরে এসআই ইয়াসির ঘটনাস্থল তদন্তে আসেন। এ সময় আঃ হামিদ হাওলাদারের ছেলে এবং সাংবাদিক শাহজাহানের বড় ভাই ইদ্রিস হাওলাদার পুলিশ দেখে তাদের কাছে গেলে তাকে গ্রেফতার করে। মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি বাদিকে ডাকেন এবং থানায় গিয়ে অভিযোগ তুলে নিতে বলেন। কিন্তু বাদি মহারাজ গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে থানায় না গিয়ে আত্মগোপন করেন। বাদি অভিযোগ তুলতে থানায় না যাওয়ায় বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করে ২০ এপ্রিল রাত ১০ টার দিকে মঠবাড়িয়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম মামলা রেকর্ড করেন।
এ মামলায় সাংবাদিক শাহজাহানসহ তাদের পরিবারের ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তিনি জাতীয় দৈনিক আমার বার্তা এবং আঞ্চলিক আজকের বার্তার মঠবাড়িয়া উপজেলার সংবাদদাতা।
সাংবাদিক শাহজাহান বলেন, প্রতিপক্ষরা বিরোধীয় এজমালি জমি ভাগ বাটোয়ারা না করে গায়ের জোরে ভোগ দখলের চেষ্টা চালায়। চলাচলের পথ বন্ধ করতে চায়। মাথা কেটে জখম তৈরি করে যারা মামলা দিতে পারে তারা না পারে এমন কোন কাজ নেই। এবিষয়ে কথা বলতে মামলার বাদি মহারাজের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান,মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাচাই বাছাই করেই একটি সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করবেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন