পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় যুবলীগ নেতার ভাইকে কুপিয়ে জখম, গ্রেপ্তার ৩

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতায় বাবলু তালুকদার (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে বরিশালে রেফার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় নির্বাচনী প্রচারনা চালানোর সময় মিরুখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাবলু তালুকদারের স্ত্রী শিউলি আক্তার বাদি হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। থানা পুলিশ এ মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গুরুতর আহত বাবলু তালুকদার মিরুখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি লাভলু তালুকদারের বড় ভাই এবং ঘোপখালী এলাকার মুত আয়নাল হক তালুকদারের ছেলে।

জানা গেছে, মঠবাড়িয়া- ভগিরাথপুর সড়কের মিরুখালী বাজার এলাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ এবং দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী এ্যাডভোকেট বায়জিদ আহমেদ খানের সমর্থক ও কর্মীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আনারস প্রতীকের লোকজন মিরুখালী বাজারে মিছিল বের করে। এ সময় দোয়াত কলমের লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আনারস প্রতীকের মিছিলে হামলা চালায়। এতে যুবলীগ নেতা লাভলু তালুকদার সহ তার ভাই এবং আরও কয়েকজন আহত হয়।

দোয়াত কলম সমর্থকদের দাবি,সহিংসতার এক পর্যায়ে আনারসের লোকজন গোলাম মোস্তফাকে কুপিয়ে জখম করে।সে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা আবু হানিফ খানের ভাই এবং দোয়াত কলমের সমর্থক। তাকে বরিশালে রেফার করা হয়েছে।

অন্যদিকে আনারস প্রতীকের সমর্থকদের দাবি,দোয়াত কলমের লোকজন শুধু মিরুখালী এলাকায় নয়।সারা মঠবাড়িয়ায় তান্ডব শুরু করেছে। দক্ষিণ সোনাখালী এলাকায় মামুন নামে একজনকে এবং দেবীপুর ও বাশঁবুনিয়া এলাকায় ফিরোজ নামে একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।

ফিরোজকে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বরিশালে নেওয়ার পথে এম্বুলেন্স থেকে ছিনতাই করে নেওয়া হয়েছে। তবে,দোয়াত কলম সমর্থকদের দাবি,ফিরোজকে তার পরিবারের লোকজন এম্বুলেন্স থেকে স্বাভাবিকভাবে বাড়িতে নিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, এক পক্ষের মামলা হয়েছে। আরেক পক্ষের মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।উভয় পক্ষের ৪ জনকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে।