পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় গৃহহীন পরিবারের জন্য পুলিশের উপহার ঘর নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের নয় ছয়

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ৬ নং টিকিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে পুলিশের উপহারের ঘর নিয়ে নয় ছয় করার অভিযোগ উঠেছে। ঘর পাইয়ে দেওয়ার উপকারের নামে আবুল কালামের পরিবারকে গৃহহীন করেছেন তিনি।

আবুল কালাম আকন টিকিকাটা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড ভেচকি গ্রামের মৃত ধলু মিয়ার পুত্র।তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সরকারি যে ঘরটিতে থাকেন কাগজে কলমে সে ঘরটির মালিক সামসুন্নাহার। সামসুন্নাহার ওই একই এলাকার মৃত তুজাহার আকনের মেয়ে এবং আবুল কালামের চাচাতো ফুফু।

জানা গেছে, করোনা মহামারির কারনে পুলিশের বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় কিছু অর্থ বেঁচে যায়। সেই অর্থ দিয়ে গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয় পুলিশ। প্রতিটি থানা এলাকায় ১টি করে মঠবাড়িয়া থানার ভেচকি এলাকায় রাঙা রিপনের বাড়ির পাশে একটি গৃহ নির্মাণ করা হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান রিপন ঘরটি পাইয়ে দেওয়ার জন্য আবুল কালাম ও আবুল কালামের চাচাতো ফুফু সামসুন্নাহারের সাথে যোগাযোগ করেন। আবুল কালামকে ৩ শতক জমি সামসুন্নাহারের নামে লিখে দিতে বলেন। ২০২১ সালে মঠবাড়িয়া সাব রেজিস্ট্রার অফিসের মাধ্যমে জমি লিখে দেওয়ার পর সামসুন্নাহারের নামে ঘরটি বরাদ্দ হয়।এরপর ওই জমিতে গৃহ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।উদ্বোধনের পর পরিবার নিয়ে আবুল কালাম সেখানে বসবাস করেন।আর সামসুন্নাহার থাকেন ওই একই এলাকায় থাকা তার আপন ভাইপোর ঘরে।

আবুল কালাম বলেন, চেয়ারম্যান আমাকে বলেছিল-সামসুন্নাহারকে ৩ শতক জমি লিখে দিলে ওই জমিতে একটি সরকারি ঘর নির্মাণ হবে। ওই ঘরের একরুমে সামসুন্নাহার থাকবে আর অন্য রুমে তোমরা থাকবে। এ কথা শুনে কোন টাকা পয়সা ছাড়াই ৩ শতক জমি সাব কবলা রেজিস্ট্রার করে দেই।আমার নিজের ঘর ছিল।

তা ভেঙে এখন পুলিশের দেওয়া এ ঘরটিতে থাকি। কিন্তু সামসুন্নাহারের নামে থাকা এ ঘরটিতে সামসুন্নাহার না থাকায় ঘরটি নিয়ে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।আমি এখন খুবই টেনশনে আছি। রাতে ঘুম হয় না।

টিকিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আত্মগোপনে থাকায় তার সাথে এ বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি।