পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বুখইতলা হযরত ওমর (রাঃ) মাদ্রাসা আলো ছড়াচ্ছে এলাকায়

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের বুখইতলা বান্ধবপাড়া গ্রামে একটি নুরানি ও হাফেজী মাদ্রাসা স্থাপন করা হয়েছে। পূর্ব বুখইতলা হযরত ওমর (রাঃ) কেরাতুল কুরআন ও হাফেজী মাদ্রাসা নামে এ প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালে স্থাপন করা হয়। কৃষি কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন মোল্লা নিজ অর্থায়নে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন।

মাদ্রাসাটিতে ১২০ জন ছাত্র এবং ৫ জন শিক্ষক রয়েছে। ছাত্রদের থাকার জন্য পাকা ভবনে আবাসন সুবিধা এবং সংযুক্ত টয়লেট রয়েছে। ছাত্রদের খেলাধুলার জন্য মাঠ এবং ওযু-গোসলের জন্য আছে বড় একটি পুকুর। পুকুরে একটি ঘাটলা নির্মান করা হয়েছে। মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি মসজিদ নির্মানের কাজ চলমান রয়েছে। বাড়ির ভিতর শিক্ষকদের জন্য কোয়ার্টার নির্মান করা হয়েছে। মাদ্রাসার পাশাপাশি এখানে একটি এতিমখানা চালু করা হবে। এটি সমাজসেবা অফিসে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চালু করা হবে একটি মহিলা মাদ্রাসাও।মাদ্রাসার পুকুরে এমন একটি ঘাটলা স্থাপন করা হবে যেখানে শতাধিক লোক একসাথে ওযু করতে পারবে। মসজিদের পাশে স্থাপন করা হবে একটি কওমি মাদ্রাসা। খুব শীগ্রই ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে মাদ্রাসার চারপাশে নির্মান করা হবে সীমানা প্রাচীর।

জয়নাল আবেদীন মোল্লার কোন সন্তান না থাকায় সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ মাদ্রাসার নামে ওয়াকফ করে দিবেন।অবসরের পর পেনশনের এক কোটি টাকাও মাদ্রাসার নামে ব্যাংকে সংরক্ষিত রাখবেন এ কৃষি কর্মকর্তা। বর্তমানে শিক্ষকদের মাসে বেতন দিতে হয় ৬০ হাজার টাকা।

আধ্যান্তিক ধ্যান ধারনা আর নিজের সন্তান সন্তদি না থাকার অনুভুতি থেকেই এ সেবামূলক কার্যক্রমে এগিয়ে এসেছেন তিনি। বর্তমানে তিনিই মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। স্থানীয় সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী, ইউপি চেয়ারম্যান মিরাজ মিয়াসহ অনেক দানশীল ব্যক্তিদের সুদৃষ্টি রয়েছে বলেও জানান জয়নাল আবেদীন।

এছাড়াও তিনি জানান,আমার স্ত্রী একসময় ইউপি সদস্য ছিল।তখন এই ৮ নং ওয়ার্ডের ট্যাক্স মওকুফ করে দিয়েছিলাম। সবার ট্যাক্স আমিই পরিশোধ করেছিলাম। এখন মাদ্রাসার জন্য নিবেদিত আছি। একটি আধুনিক মাদ্রাসা গড়ে তোলাই আমার প্রত্যাশা। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।