পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত সোবহান শরীফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতিহিংসার শিকারে পরিণত হয়েছে সোবহান শরীফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও জরাজীর্ণ টিনশেডের ঘরেই এখনও পাঠদান করাতে হয় শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টিনশেডের নিচে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা সবাই লেইজারের পর বাড়িতে চলে গেছে।৮ম শ্রেনীতে ৩ জন,৯ম শ্রেনীতে ৭ জন এবং ১০ম শ্রেনীতে ৫ জন শিক্ষার্থী পাওয়া গেছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সকালে ক্লাসে উপস্থিতি ভাল থাকে।সকাল গড়িয়ে দুপুর এলেই টিনের চালার নিচে বসে থাকার সাধ্য থাকে না কারোই। একের পর এক বাড়িতে চলে যেতে হয় আমাদের। শুনেছি স্থানীয় প্রভাবশালী নেতার সাথে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সোবহান শরীফের সম্পর্কের অবনতির কারনে স্কুলে কোন নতুন ভবন বরাদ্দ হয় না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,মাধ্যমিক পর্যায়ের এ বিদ্যালয়টিতে ৫ জন সহকারি শিক্ষক,১ জন অফিস সহকারী, ১ জন নৈশ প্রহরী এবং ১ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী রয়েছে। সদ্য নিয়োগ পাওয়া নৈশ প্রহরী এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মীর বিল কাগজ অজ্ঞাত কারনে অগ্রগামী না করে টালবাহানা করে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।বিল না পাওয়ায় স্কুলে মন বসে না তাদের।মাধ্যমিক শাখায় ৬ জন শিক্ষকের পদ থাকলে চাহিদার বিপরীতে এনটিআরসিএ’র সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের পরিবেশ দেখে যোগদান করেন না।এখনও জরাজীর্ণ টিনশেডের বিদ্যালয় বিশ্বাসই করতে পারেন না তারা।শিক্ষক সংকটে একদিকে যেমন ব্যাহত হয়েছে পাঠদান অন্যদিকে তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থী সংকট।
বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকের অভাবে বিজ্ঞান ও ব্যবসা শিক্ষা শাখায় কোন ছাত্র-ছাত্রী নেই।সুপারিশ পেয়েও টিনশেডের স্কুলে যোগদান করেন না তারা।এখনও সৃষ্ট হয়নি সহকারি প্রধান শিক্ষকের পদ।মাধ্যমিক শাখা এমপিওভুক্ত হলেই নিয়োগ দেয়া যাবে বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ এ পদটি।
ইতিমধ্যে জেলা পরিষদের ১ লক্ষ টাকা,উপজেলা পরিষদ থেকে ২ লক্ষ টাকা এবং প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু খরচ যুগিয়ে নতুন টিন লাগানো এবং গাইড ওয়াল তৈরি করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র মিত্র জানান, নতুন ভবনের জন্য একাধিকবার আবেদন করেও কোন সুফল পাওয়া যায় নি। স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
বিদ্যালয়র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং মিরুখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা সোবহান শরীফ জানান,আমি প্রভাবও নেতাদের অন্ধ আনুগত্য না করায় বিদ্যালয়টিতে নতুন ভবন নির্মান থেকে বঞ্চিত হয়েছি। নতুন ভবন বরাদ্দের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন