পিলখানা ট্র্যাজেডি: শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
আলোচিত বিডিআর বিদ্রোহের (পিলখানা ট্র্যাজেডি) ১৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে বিপথগামী সদস্যরা কিছু দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্মম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে তাণ্ডব চালায়। এতে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
রোববার সকাল ৯টা ৮ মিনিটে বনানীর সামরিক কবরস্থানে শহিদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শাহাদত বরণকারী সেনাকর্মকর্তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
বনানীর সামরিক কবরস্থানে শহিদদের কবরে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম। এরপর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিন বাহিনী প্রধানের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের পক্ষে জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শহীদ পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়রা।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে এ সময় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং কর্মরত সামরিক সদস্য স্যালুট প্রদান করেন। পরে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, জেসিও এবং অন্যান্য পদবির সেনাসদস্য, শহিদ পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন