পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরা খনি ‘দ্য কিম্বার্লি মাইন’

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরার খনি দক্ষিণ আফ্রিকার দ্য কিম্বার্লি মাইন। যেখানে রেকর্ড পরিমাণ হীরা উত্তোলন করা হয়। পরিত্যক্ত হবার পর জায়গাটির নাম দেয়া হয়েছে ‘দ্য বিগ হোল কিম্বার্লি’। দক্ষিণ আফ্রিকায় যতো পর্যটকের সমাগম হয় তার একটা বড় অংশ আসে এই বিগ হোলকে কেন্দ্র করে। আফ্রিকা সফরে সুযোগ পেয়ে পৃথিবীর সর্বপ্রথম হীরা খনি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররাও।

প্রতিদিন হাজারো পর্যটকের সমাগম ঘটে বিখ্যাত বিগ হোল পরিদর্শনে। কারণ, রূপকথার গল্পের মতোই রহস্যে ঘেরা পৃথিবীর প্রথম এবং সবচেয়ে বড় এই হীরার খনি। একশো বছরের অধিক সময় হলো এখান থেকে হীরা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু কেন? কৌতূহলী মনের জানার চেষ্টা।

একজন পর্যটক বলেন, ‘এতোটাই হীরা এখানে লুকিয়ে আছে যে। আপনি আবারো খনন করলে এই শহর শেষ হয়ে যেতে পারে।’

আরেকজন পর্যটক বলেন, ‘অনেক মানুষের তাজা প্রাণ গেছে। তাই তাদের পরিবারের অভিশাপে এমন অবস্থা হয়েছে।’

মানুষের তৈরি সবচেয়ে বিশাল গর্ত এটি। বিগ হোলের এই শান্ত নীল জলরাশির নিচে এখনো সম্পদের প্রাচুর্য রয়েছে সীমাহীন। পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি খনি শ্রমিক মিলে গর্ত খুঁড়েছে। ৪২ একর জায়গাজুড়ে ৭০৬ ফুট গভীর থেকে ৪২ বছরে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪ হাজার ৫৬৬ ক্যারেট হীরা তোলা হয়েছে এখান থেকে। এমন গল্পই আসলে বলে দেয় মানুষের পক্ষে অসাধ্য সাধন কঠিন হলেও, অসম্ভব না।

একজন প্রবাসী বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল আমি এসে এটা দেখবো। আমার স্বপ্ন প্রমাণ হলো।’

আরেকজন প্রবাসী বলেন, ‘পৃথিবীতে যত ডায়মন্ড পাওয়া গেছে, তার থেকে বেশি ডায়মন্ড এখানে আছে।’

পাশের জাদুঘরে চোখ ধাঁধানো কিছু মহামূল্যবান হীরা পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত রেখেছে বিগ হোল কর্তৃপক্ষ। যেখানে জ্বলজ্বল করছে দুর্লভ কোহিনূর। এছাড়াও, টিফানি, জুবিলি ও কালিনান হীরার দর্শন মুগ্ধ করবে যে কাউকেই। যেমনটা মুগ্ধ করেছিলো বিগ হোল দেখতে আসা বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার মাশরাফি, সাকিব, তাসকিন, নাসির রুবেলদের।