‘প্যারোলের বিষয়টি খালেদা ও তার পরিবারের বিষয়, দলের নয়’
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি নিয়ে রাজনীতিতে যে আলোচনা চলছে সেটা একান্তই খালেদা জিয়া এবং তার পরিবারের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জিয়ার সমাধিতে আসেন। জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলমান রয়েছে। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার এবং দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে আমরা আজকে শপথ নিয়েছি আমাদের আন্দোলন বেগবান করব। বাংলা নববর্ষে তিনিসহ দলের তিনজন নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলেও জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, অনেকদিন পর গতকাল বাংলা নববর্ষে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সীমিত পরিসরে আমরা তিনজন দেখা করার অনুমতি পেয়েছি। এ সময় মূলত তার স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ও তার মামলার আইনগত দিকগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী দলের খোঁজখবর নিয়েছেন, দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে ও জাতীয় ঐক্য অটুট রাখতে বলেছেন এবং দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘প্যারোল আমাদের দলের বিষয় না, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ-এটা তার একটা বিষয়। আরেকটা তার পরিবারের বিষয়। সুতরাং এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করিনি।’
সংসদে যাওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি জানিয়ে ফখরুল আরও বলেন, এটাকে তো আমরা নির্বাচিত বলছি না, আমরা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছি।
কেউ কেউ বলছেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) মুক্তির বিনিময়ে বিএনপি সংসদে যাবে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ রকম কোনো ইনফরমেশন আমাদের কাছে নেই।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে না, তৃণমূল নেতাকর্মীরা এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন- বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ফখরুল বলেন, ‘ব্যাপারটা হচ্ছে আন্দোলনের বিভিন্ন ধাপ থাকে, কৌশল থাকে, আন্দোলন বলতে শুধু হরতাল জ্বালাও-পোড়াও বোঝায় না। আমি এই বিষয়টার সঙ্গে একমত হতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আন্দোলন বলতে বুঝি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সোচ্চার হতে হবে। সেটাকে আমরা আন্দোলন বলছি। তার জন্য আমরা কাজ করছি। তার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইনশাল্লাহ দেশনেত্রীকে এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে আমরা সক্ষম হব।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন