কিশোর কিশোরীদের যৌন ও
প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা টেকসই উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, একটি জাতির ভবিষ্যৎ সে দেশের শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে। কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবার মানদণ্ড সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে আমাদের দেশে সামাজিক নানারকম সংকোচ এবং দ্বিধার কারণে বিষয়গুলো সেভাবে আলোচিত হয় না। এতে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হতে হয় কিশোরীদের যারা আমাদের মেয়ে ও ভবিষ্যতের গর্ভধারিণী মা এবং পরিবারের মূল চালিকাশক্তি। বর্তমান সরকারের ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে গেলে কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
মন্ত্রী সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় একটি অভিজাত হোটেলে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘নগরীর কিশোর-কিশোরী ও মায়েদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক পলিসি কনফারেন্স’ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী এ সময় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় আসে তখন মাথাপিছু আয় ৬০০ ডলার থেকে বিগত ১৫ বছরে ২ হাজার ৮২৪ ডলারে উন্নীত করেছে, ফলে স্বাস্থ্যখাতের যে মানদণ্ডগুলো আগে অবহেলিত ছিল তা এখন আমরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে পারছি। তবে তারপরও আমাদের সমাজে কিশোরী, অবিবাহিত মেয়ে ও নারীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি এখনো কিছুটা উপেক্ষিত। এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার কারিকুলামে অন্তর্ভুক্তিসহ বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যে অবস্থানে নিয়ে যেতে চান সেখানে আমাদের শিশু, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। আজকের এই নীতি সংলাপের মাধ্যমে নগরীর কিশোর-কিশোরী ও মায়েদের প্রজননের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের সহায়ক হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য ডঃ আব্দুল আজিজ এমপি, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মহাপরিচালক শাহান আরা বানু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ পরিচালক চন্দন জেড গোমেজ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন