প্রতিহিংসায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে : নজরুল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, শুধু প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে খালেদা জিয়াকে সাজানো মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে সরকার। দুর্নীতির অভিযোগ নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশে বিএনপির চেয়ারপারসন আজ জেলে।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট আয়োজিত ‘কারাবন্দি দেশনেত্রী এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমান সরকার চায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আবারও একতরফা ভোট করতে। আর সেজন্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলায় তাঁকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, কোনো পাগলেও বিশ্বাস করেন না খালেদা জিয়া তাঁর স্বামীর নামে গঠিত ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সরকার মনে করে দেশের মানুষ বোকা, তাঁরা কিছুই বুঝে না। তাঁরা যা বলবে সেটাই জনগণ বিশ্বাস করবে। কিন্তু দেশের জনগণ সময়মত তাদের জবাব দিবে সরকারের সব অন্যায়-অবিচারের।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগারে রাখা হয়েছে। যেখানে কোনো কয়েদি থাকে না। অথচ খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামমূলক ও অন্যায়ভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে সাধারণ কয়েদির মতো। সরকার খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে তাঁকে মানসিকভাবে কষ্ট দিচ্ছে। এর মাধ্যমে তাঁর ক্ষতি করতে পারেনি বরং তাঁর অবস্থান ও জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি এখন দেশনেত্রী থেকে দেশের মানুষের মা হয়েছেন।
‘যারা গণতন্ত্রের শত্রু তাঁরা খালেদা জিয়াকে শত্রু মনে করেন। কারণ তিনি দেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লাড়াই করে ফিরিয়ে এনেছেন। আর বর্তমান একদলীয় ক্ষমতাসীন ও সাবেক স্বৈরাচারের সমন্বয়ে গঠিত সরকারে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়া। তাই তাঁকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে।
সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করায় পুলিশ দলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা-মামলা নির্যাতন করছে। কারণ তাঁরা চায় আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন পরিহার করি, যাতে তাঁরা জ্বালাও-পোড়াও করে আমাদের আরো বেশি নির্যাতন করতে পারে।
আইনমন্ত্রীর সমালোচনা করে বুলু বলেন, খালেদা জিয়া আইনজীবীদের ভুলে জেলে আছেন বলে আপনি প্রমাণ করে দিলেন মামলাটি ভুয়া সাজানো। তাহলে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করে দিন। কারণ আপনি নিজেই তো একজন আইনজ্ঞ।
বিএনপির প্রচারবিষয়ক সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, দেশের মানুষ আজ বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তাই আমাদের কোনো কর্মসূচি পালন করতে বাধা দিচ্ছে। কারণ সরকার চিন্তা করছে বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করলে সরকারের পতন অনিবার্য।
সংগঠনের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিমের সাভাপতিত্বে মুক্ত আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন