প্রথম বলেই সাকিবের উইকেট, জিতল কলকাতা
ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারেননি। শেষ দিকে নেমে ৫ বলে ৩ রান করে আউট হয়ে গেছেন। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রথম ম্যাচে সাকিব আল হাসান এরপর বোলিংয়ে কী করেন, সেটি ছিল দেখার।
সাকিব আহামরি কিছু করতে পারেননি। যদিও শুরুটা তেমন ইঙ্গিতই দিয়েছিল। তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই প্রথম বলে উইকেট তুলে নেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। কিন্তু শুরুর সেই দারুণ কিছুর ইঙ্গিত শেষ পর্যন্ত আর থাকেনি। ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়েছেন সাকিব, উইকেট ওই একটিই। তবে তাঁর দল কলকাতার জিততে শেষ পর্যন্ত তেমন বেগ পেতে হয়নি।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ১০ রানে হারিয়ে আজ আইপিএলে শুভ সূচনা হলো কলকাতার। চেন্নাইয়ে কলকাতার করা ১৮৭ রানের জবাবে হায়দরাবাদ থেমেছে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৭ রান নিয়ে।
কলকাতায় এবার দ্বিতীয়বার ফিরেছেন সাকিব। তার আগে মাঝে আইপিএলে যে দলে খেলেছিলেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার, সেই হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই শুরু হয়েছে তাঁর বর্তমান দলের আইপিএল। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে অবশ্য এসব আবেগ তেমন হয়তো প্রভাব ফেলে না। তবে পুরোনো দলের বিপক্ষে আজ সাকিব কলকাতার একাদশে থাকবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কা ছিল ম্যাচের আগে।
সে শঙ্কার শেষ হলো একাদশে সাকিবকে নিয়ে কলকাতা মাঠে নামায়। ব্যাট হাতে অবশ্য সাকিব কিছু করার সুযোগ পাননি। নেমেছেনই ইনিংসের ১৮তম ওভারে। কিন্তু সাকিব অলরাউন্ডার বলেই তো ব্যাট হাতে না হলে বল হাতে সেটি পুষিয়ে দেওয়ার সুযোগ থাকে। কলকাতার দেওয়া ১৮৮ রানের লক্ষ্যে নামা হায়দরাবাদের দ্বিতীয় উইকেটটা যখন তুলে নেন সাকিব, মনে হচ্ছিল বল হাতেই কিছু করে দেখাবেন তিনি।
হায়দরাবাদ ইনিংসের তৃতীয় ওভার সেটি। এর আগের ওভারের তৃতীয় বলেই প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে ভেঙেছে হায়দরাবাদের উদ্বোধনী জুটি, দলকে ১০ রানে রেখে ফেরেন অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। এরপর তৃতীয় ওভারে এসেই প্রথম বলে সাকিব বোল্ড করে দেন হায়দরাবাদের আরেক ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহাকে (৭)।
১০ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার নেই, হায়দরাবাদ বুঝি সেখানেই লড়াইয়ে পিছিয়ে গেল! কিন্তু তৃতীয় উইকেটে দলকে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরান মনিশ পান্ডে ও জনি বেয়ারস্টো। পান্ডে তো ৪৪ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৬১ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। আর বেয়ারস্টো ৪০ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৫৫ রান। ১৩তম ওভারের শেষ বলে বেয়ারস্টোর বিদায়ে যখন জুটি ভাঙে, হায়দরাবাদের রান হয়ে গেছে ১০২! ভালোভাবেই তখন লড়াইয়ে হায়দরাবাদ।
এরপর মোহাম্মদ নবী (১৪), বিজয় শঙ্কররা (১১) দ্রুত ফিরে গেছেন। সাতে নামা আবদুল সামাদ এসে ৮ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন। অন্য প্রান্তে পান্ডে তো অপরাজিত ছিলেনই। তবু সমীকরণটা মেলানো হলো না হায়দরাবাদের। স্বস্তিতে মাঠ ছাড়ল কলকাতা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন