প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রীতির বাংলাদেশ তৈরি করতে চান : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারা দেশে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ বর্ণিলভাবে সেজে গেছে। গ্রাম ও শহরের মানুষ পূজার সাথে মিশে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ তৈরি করতে চান। অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে দৃঢ়তা ও সাহস-সেজন্য আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর হাত থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করেছিলেন এবং সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে একটি জাতিসত্তা সৃষ্টি করেছিলেন। যেই জাতিসত্তা সৃষ্টির সঙ্গে সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ যুক্ত ছিল। তারা রক্ত দিয়ে এই বাংলাদেশের নাম লিখিয়েছে।
রবিবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গণে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি আয়োজিত দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ৭২ এর সংবিধান রয়েছে, এ সংবিধান সম্প্রীতির কথা বলে। যে সম্প্রীতি নিয়ে আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল। এর পরে বাংলাদেশের সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়ে গেছে। অসাম্প্রদায়িকতা বিনষ্ট হয়ে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা গর্ব করে বলতে পারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রীতির নেতৃত্ব দিচ্ছেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করেছেন। তাঁরই নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বর্ণিল আলোকে আলোকিত হয়েছে। বাংলাদেশ আজকে পৃথিবীতে প্রশংসিত হচ্ছে। বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নের রোল মডেল তার একমাত্র কারণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে লালন করেন। তিনি কোনো বিভাজন করতে চান না। তিনি কোনো বিভক্তি চান না। বাংলাদেশে ৩২ হাজারের ওপরে পূজামণ্ডপে পূজা হচ্ছে। এত আনন্দ, এত বর্ণিল, এত উচ্ছ্বাস এটা শুধু হয়েছে সম্প্রীতির কারণে। আমরা বিভাজন নয়, বিভক্তি নয়, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেভাবে দেশ স্বাধীন করেছি, সেভাবেই চলব।
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য অধ্যাপক চন্দ্র নাথ পোদ্দার, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিক এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রমেন মন্ডল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন