প্রশ্নফাঁসকে প্রযুক্তি ও উন্নয়নের সমস্যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসকে ‘প্রযুক্তি ও উন্নয়নের সমস্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেছেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসকারীরা আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে। আমরা যখন এর পাল্টা ব্যবস্থা করি তখন তারা আরেকটি প্রযুক্তি নিয়ে হাজির হচ্ছে। এটা হচ্ছে উন্নয়নের সমস্যা, প্রযুক্তির সমস্যা। তবে, এটা আমরা মোকাবেলার চেষ্টা করছি। আশা করি সবার সহযোগিতায় এ সমস্যার সমাধান হবে।’
জাতীয় সংসদে রোববার প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের এ কে এম শামীম ওসমানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নাহিদ বলেন, প্রশ্নফাঁসসহ একাধিক কারণে সরকারকে চাপে থাকতে হয়। প্রশ্নফাঁস আমাদের দেশের দীর্ঘকালের সমস্যা। আমরা শুরু থেকে এ সমস্যা মোকাবেলা করছি। আগে বিজি প্রেস একটি সমস্যা ছিল। কিন্তু আমরা সেটাকে নিরাপদ করেছি। এখন সেখান থেকে প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সম্ভাবনা নেই। সেখান থেকে জেলা-উপজেলায় পাঠানো হয় সেটাকেও নিরাপদ করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যাদের নিরাপদ ভাবা উচিত সেই শিক্ষকরা পরীক্ষার দিন সকাল বেলায় প্রশ্ন ফাঁস করছেন।
তিনি বলেন, কিছুসংখ্যক শিক্ষক যারা শিক্ষক সমাজের সম্মান নষ্ট করছে এবং সার্বিকভাবে সরকারকে সমস্যায় ফেলে দিচ্ছে। তারা পরীক্ষার আগে খাম খুলে এটা প্রচার করে দেয়। এতে তারা অর্থ আয়ও করে আবার সরকারকেও বেকায়দায় ফেলতে চায়। তবে এবার আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোনোভাবে কাউকে জড়িত পাওয়া গেলে তার কঠোর শাস্তি হবে। শিক্ষকের চাকরি থাকবে না। পরীক্ষা কেন্দ্র থাকবে না। স্কুলও আমরা কেটে দিতে পারি। কোনো ধরনের মোবাইল ফোন কেউ পরীক্ষার হলের পাশে নিতে পারবেন না। শেষ সময় প্রশ্নফাঁস হয় বলে আমরা এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে গিয়ে সিটে বসতে হবে। তারপর খাম খোলা হবে। এটা পর্যবেক্ষণের জন্য আমরা মোবাইল টিমও গঠন করেছি। আশা করি সবার সহযোগিতায় প্রশ্নফাঁস বন্ধ করতে পারব।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন