প্রার্থনার মাধ্যমে বিশ্বের মানুষের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং বিশ্বাসের মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ ও সহযোগিতা কামনার আহ্বান জানিছেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনি বলেছেন, যে বিশ্বাসের কারণে হাজার হাজার মানুষ এখানে যোগ দিয়েছেন। সেই বিশ্বাস নিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করুন। মানুষের সাহায্য ও সহযোগিতায় নিজেকে উৎসর্গ করুন। শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খ্রিস্ট ধর্মের বিশেষ সভা ও উপাসনায় যোগ দিয়ে পোপ ফ্রান্সিস এসব কথা বলেন।

পোপ ফ্রান্সিস বলেন, বিশ্বাস রেখে অনেক দূর থেকে এসেছেন। এটিই বড় কথা। এভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যান। পর্বতের ওপর যিশুর বাণীর মধ্য দিয়ে। নব অভিষিক্ত যাজকদের জন্য অনেক প্রার্থনা করতে হবে। তারা পূর্ণ অভিষেক লাভ করে যাজক হবেন। খ্রিস্ট বিশ্বাস হিসেবে সবার দায়িত্ব সহায়তা দেওয়া।

তিনি বলেন, আপনারা যারা আসছেন তাদের কাছে আমার আহ্বান, যাজকদের সহায়তা করতে হয় প্রার্থনার মাধ্যমে। যাজকদের জন্য প্রার্থনা করতে কখনও কেউ যেন ক্লান্ত না হও। প্রার্থনা ও বিশ্বাসের মাধ্যমে সহযোগিতা করো। সবশেষে সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। এ সময় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরাও প্রার্থনা সভায় যোগ দেন।

পুরো আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়। উপাসনার স্থানে তিল ধারনের ঠাঁই ছিল না। এ আয়োজনের স্বেচ্ছাসেবক প্রান্ত মার্টিন ক্রুশ বলেন, সকাল ৬টার পর উদ্যানের ছয়টি ফটক খুলে দেওয়া হয়। সবাইকে ঢুকতে দেওয়া সকাল ১০টা পর্যন্ত।

এদিকে, বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন পোপ। এরপর ক্যাথিড্রাল পরিদর্শন করবেন। পরে ৪টা ১৫ মিনিটে রমনায় প্রবীণ যাজক ভবনে পোপের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশপদের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে তিনি ধর্মীয় বক্তব্য দেবেন, দেবেন নির্দেশনা। ৫টায় রমনার আর্চ বিশপ হাউজের মাঠে সভা রয়েছে।

এর আগে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসেন পোপ। বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অভ্যর্থনা জানান পোপ ফ্রান্সিসকে। এ সময় পোপকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান। সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

পোপ ফ্রান্সিসের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার বুয়েনস আয়ার্সে। ক্যাথলিক পুরোহিত হিসেবে তার অভিষেক হয় ১৯৬৯ সালে। পুরো আমেরিকা অঞ্চল এবং দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে নির্বাচিত প্রথম পোপ তিনি।