প্রার্থিতা বাতিলের শঙ্কায় অনেক প্রার্থী
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের মাত্রা প্রতিদিনই বাড়ছে। একজন বিধি ভাঙলে অপরাপর প্রার্থীরাও ভাঙ্গার প্রতিযোগিতায় নামছেন। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সহিংসতাও। এ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ৩৩টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
সতর্ক বার্তা, শোকজ, ভর্ত্সনা, মামলা এমনকি কারাদণ্ড দিয়েও থামানো যাচ্ছে না প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো হাঁপিয়ে উঠেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর তাই আচরণবিধি ভাঙার শাস্তি হিসেবে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনকারী ও নির্বাচনী সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ কারণে প্রার্থিতা বাতিলের শঙ্কায় রয়েছেন অনেক প্রার্থী।
প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। জোরেশোরে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পাশাপাশি মাঠে রয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা) সহ অন্য দলের প্রার্থীরা। প্রচারণা শুরুর প্রথম পাঁচদিনেই দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যা, সংঘর্ষ, বোমাবাজি হয়েছে। তবে এসব সংঘর্ষে জড়ানো উভয়পক্ষই আওয়ামী লীগ সমর্থিত। কারণ স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা অধিকাংশই আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা।
জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্র করে এই দ্বন্দ্ব নিয়ে বিপাকে ক্ষমতাসীনরা। অভিযোগ উঠেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কেউ কেউ সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। পূর্বে তারা বিরোধী মতাদর্শী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এ কারণে এখন তারা সংঘর্ষে লিপ্ত থেকে নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক বার্তা দিতে চান। নিজেদের মধ্যে মারামারিতে বিরাট প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। ইতিমধ্যে এ জাতীয় কর্মকাণ্ড থেকে বেরিয়ে না এলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু তারপরও তারা কথা শুনছেন না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, যে কেউ নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন। তাই বলে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে হবে কেন? এগুলো নির্বাচন কমিশনের দেখা উচিত। সব ক্ষেত্রে লিখিত অভিযোগ দিতে হবে কেন? সবাই যা দেখতে পাচ্ছে, নির্বাচন কমিশন তা দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? গত কয়েকদিনে গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি জায়গায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শক্তিশালী। তারা নৌকার প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা করছেন। আবার অনেক জায়গায় নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরাই হামলা করছেন। কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা রূপ নিচ্ছে হত্যা-সংঘর্ষে।
এদিকে ভোটের প্রচার ঘিরে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় ‘নির্লিপ্ততা ও দায়িত্বে অবহেলার’ অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা ও হরিণাকুণ্ডু থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এদিকে সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে কুমিল্লা-৬ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগেও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বাহাউদ্দিনকে ২ বার কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। গত ১৮ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের হাত-পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ ওঠে এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে, বিএনপি-জামায়াতদের কোনো কর্মীকে নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে পাওয়া গেলে তাদের হাত-পা ভেঙে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এর জেরে এমপি বাহারকে শোকজ করে নির্বাচন কমিশন। এরপর নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালিয়াজুরি পিটিআই স্কুল মাঠে উঠান বৈঠক করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ফলে একই দিনে দ্বিতীয়বার তাকে শোকজ করে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। এছাড়া সংখ্যালঘুদের নিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
নির্বাচন কমিশন অবশ্য এসব রোধে হার্ডলাইনে যাচ্ছে। এখন থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে সংস্থাটি। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দুই শতাধিক প্রার্থীকে ইতিমধ্যে একাধিকবার শোকজ করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের গঠন করা নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিগুলো এখন পর্যন্ত ২১১টি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ৯১ জন। আবার তাদের মধ্যে ৫২ জনই বর্তমান সংসদ সদস্য। ইতিমধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য তলব করা হয়েছে আওয়ামী লীগের অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীকেও। এর মধ্যে কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যও রয়েছেন।
শুধু তলব নয়, অভিযুক্ত কারও কারও বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্বাচন কর্মকর্তাদের মামলা করারও নির্দেশ দিয়েছে ইসি। চট্টগ্রাম-১৬ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ আরও কয়েকজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এর আগে ইসির নির্দেশনায় করা মামলায় নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন ২০ দিন কারাভোগের পর গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। এছাড়া বরগুনা-১ আসনের বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, নারী ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী গাজীপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকির এপিএস মো. মাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
চট্টগ্রামেও নির্বাচনী মাঠে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রচারণা শুরুর পর থেকে অধিকাংশ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে প্রতিদিনই গুলিবর্ষণ, ভাঙচুর, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। প্রচার-প্রচারণার দিন যতই গড়াচ্ছে, ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভোটের মাঠ। এতে ভোটের আগেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন প্রার্থী, সমর্থক ও ভোটাররা। পটিয়ায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর (ঈগল) সমর্থকদের মধ্যে প্রতিনিয়ত সংঘাত-সংঘর্ষ, ক্যাম্প ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা লেগে রয়েছে।
নৌকার বাইরে গিয়ে কেউ কোনো কথা বললে ‘গলা নামিয়ে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মাদারীপুর-২ (রাজৈর-সদর একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান খান। এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর আসিবুরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। লালমনিরহাট-১ আসনে উচ্চ আদালত নিয়ে এমপি মোতাহার হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস-২) উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলের অবমাননাকর বক্তব্য গত বুধবার থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের নির্বাচনী পথসভায় নৌকার প্রার্থীর ছেলের নেতৃত্বে হেলমেট বাহিনীর হামলার অভিযোগ উঠেছে। নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো.আসাদুজ্জামান জানান, পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা ও ফেনী জেলার বর্ডার অঞ্চল হওয়ার কারণে এখানে অবৈধ অস্ত্র ঢুকতে পারে। আমরা সে বিষয় অভিযান চালাবো। সন্ত্রাসী যেই হোক কাউকে ছাড় দিব না। ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোটারদের পিটিয়ে মেরে ফেলবো এমন বক্তব্যের পরপরই স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর এমন হামলার প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, ভিডিও ক্লিপটি দেখে এ হামলার সাথে মিলিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
‘নৌকার বিরুদ্ধে গেলে মারব’: নাটোর ২ (সদর) আসনে নৌকার প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুলকে ভোট না দিলে ভোটকেন্দ্রে না যেতে ‘নির্দেশ’ দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা রিয়াজুল ইসলাম মাসুম। তিনি বলেছেন, ‘কেউ নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করলে এমন জায়গায় মারবো, কাউকে দেখাতে পারবেন না।’ নাটোর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আহাদ আলী সরকার জেলা প্রশাসক বরাবর রিয়াজুল ইসলাম মাসুমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
কুমারখালীর ভোটারদের প্রকাশ্যে হুমকি : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটারদের প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুমারখালী পৌরসভার মেয়র সামসুজ্জামান অরুণ। তিনি বলেছেন, ‘৭ তারিখের পরে আপনাদের সঙ্গে যেন আমাদের দুর্ব্যবহার করা না লাগে, আপনারা যদি বাড়ি থেকে বের হতে না পারেন, আমরাই কিন্তু কষ্ট পাবো।’ তার এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ইত্তেফাকের কাছে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায় সামসুজ্জামান অরুণ বলছেন, ‘ভোট যাই হোক ফলাফল নির্ধারিত, সেলিম আলতাফ জর্জের নামই এমপি হিসেবে ঘোষিত হবে।’
সংঘর্ষে হতাহত হচ্ছে অনেকে : ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ময়মনসিংহ সদর উপজেলার গুতাপাড়া গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প করতে গিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ কর্মী রফিকুল ইসলাম (৫২) হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। ২৩ ডিসেম্বর মাদারীপুরের কালকিনিতে এসকেন্দার খাঁ (৭০) নামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এর বাইরে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন স্থানে হামলা সংঘর্ষ গোলাগুলি কিংবা বোমাবাজিতে আহত হচ্ছে অনেক নেতাকর্মী।
নির্বাচন ঘিরে এসব বিষয় নজরে এসেছে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার। ২১ ডিসেম্বর ভার্চুয়ালি জনসভায় যুক্ত হয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ অবাধে ভোট দেবেন। ভোটের মালিক জনগণ, এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। আমরা এ নির্বাচন উন্মুক্ত করেছি, নৌকার প্রার্থীও আছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছে এবং অন্য দলের প্রার্থীও রয়েছে। আপনারা জনগণের কাছে যাবেন, জনগণ যাকে ভোট দেবেন তিনি নির্বাচিত হবেন। কেউ কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বাচনে জেতার জন্য কোনো রকমের সহিংসতা আমি দেখতে চাই না। কোনো সংঘাত হলে, সংঘাত যদি আমার দলেরও কেউ করে, তাদের কিন্তু রেহাই নেই।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন